নিজস্ব প্রতিবেদন- বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে কালো দিন। গণতন্ত্র ও সাংবিধানকে হত্যা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিজেপির নবান্ন অভিযানের পর সাংবাদিক বৈঠকে এমন দাবিই করেছিলেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। সেইসঙ্গে  বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ আবার দাবি করেছিলেন, নবান্ন অভিযানের দিন পুলিস যে জল কামানে যে জল ব্যবহার করেছিল তাতে করোনাভাইরাস মেশানো রাসায়নিক ছিল। যদিও বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে আগেই পুলিসের বিরুদ্ধে রাসায়নিক মিশ্রিত জল ছোঁড়ার অভিযোগ ছিল। এবার বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হল, তাদের ৫০০ জন কর্মী সেদিন পুলিসি বর্বতার শিকার হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন রাজ্য বিজেপির তরফে লোকসভার স্পিকারের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন তেজস্বী সূর্য। নবান্ন অভিযানের দিন পুলিসের বিরুদ্ধে উঁচু জায়গা থেকে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগও করল বিজেপি শিবির। তেজস্বী সূর্য এদিন বলেছেন, ''আমি, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও নিশীথ প্রামাণিক সেদিন হাওড়ার থানায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেও এফআইএর করাতে পারিনি। আমাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়নি। পুলিস কোনও কারণ ছাড়াই এফআইআর নিতে অস্বীকার করে। সেদিন থানায় লকেট চট্টোপাধ্যায় পর্যন্ত প্রহৃত হন। লোকসভার সাংসদদের খুনের চেষ্টা করা হয়।'' তিনি জানিয়েছেন, লোকসভার স্পিকার এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।


আরও পড়ুন-  করোনার ওষুধে শয়ে শয়ে মৃত্যু নদীর জলের মাছের! চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়


তেজস্বী আরও বলেন, ''আমি জানি না সেদিন যে জলকামানে পুলিস যে জল ব্যবহার করেছিল তাতে করোনার জীবাণু ছিল কি না! তবে তাতে করোনার থেকেও ক্ষতিকারক কোনও রাসায়নিক মেশানো ছিল।'' ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিস সুধীর কুমার নীলকন্টম, জোড়াসাঁকো থানার ওসি কুণাল আগরওয়াল, হাওড়ার পুলিস কমিশনারেট, কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি।