নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনায় ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। জেলা সভাপতির অপসারণ চেয়ে ঠাকুরনগরে মিছিল করলেন, বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। এদিন জেলা সভাপতির কুশপুতুলে জুতো মারা হয়। তারপর সেই কুশপুতুল দাহও করেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। সবমিলিয়ে বারাসত বিজেপি সাংগঠনিক জেলার গোষ্ঠীকোন্দল আবার প্রকাশ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন দুপুরে বনগাঁ লোকসভার সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাড়ির সামনে জেলা সভাপতি শঙ্কর চ্যাটার্জির অপসারণের দাবিতে প্লাকার্ড নিয়ে মিছিল করে বারাসত জেলা বিজেপি বাঁচাও কমিটি। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা সেই প্ল্যাকার্ডে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে ধরেছেন। প্ল্যাকার্ডে কোথাও লেখা,"দিনে নারী রাতে মদ, বিক্রি হচ্ছে বারাসত জেলা বিজেপির পদ।" কোথাও আবার লেখা, "তৃণমূলের দালাল মাতাল শঙ্কর চ্যাটার্জি দূর হটো।" কোথাও লেখা, "ধর্ষণকামী, নারীলোলুপ শঙ্কর চাটার্জির শাস্তি চাই।"


ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি থেকে শুরু হয়ে এদিন মিছিল যায় সবেতো তলার মোড় পর্যন্ত। সেখানে শঙ্কর চ্যাটার্জির কুশপুতুলে জুতো মারা হয়। দাহ করা হয় সেই কুশপুতুল। এই বিষয়ে বনগাঁ লোকসভার সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমি একজন জনপ্রতিনিধি। আমার কাছে সবাই আসতে পারে। কিন্তু জেলা বিজেপির বিরুদ্ধে যা জানানোর, তা সাংগঠনিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য আমি তাঁদের বলেছি। এ বিষয়ে আমি বলার কেউ নই। আমি সাংগঠনিক কোনও পদে নেই। আমি সংসদ নিয়েই ব্যস্ত আছি।"


অন্যদিকে, এই বিষয়ে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "এটা বিজেপির গটআপ কেস। সপ্তাহখানেক আগেও এরকম মিছিল আমরা দেখেছিলাম। এটা সম্পূর্ণ আভ্যন্তরীণ কোন্দল।"


আরও পড়ুন, 'তৃণমূল ৩০ শতাংশের জন্য করেছে, বিজেপি ১০০ শতাংশের জন্য কাজ করবে', প্রতিশ্রুতি কৈলাসের