নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচি উপলক্ষ্যে রণক্ষেত্র বসিরহাট। সোমবার বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচিতে তুমুল লাঠি চালায় পুলিস। গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মীকে। বিজেপির দাবি, পুলিসের লাঠিতে আহত বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার বেলা ১২টায় ছিল বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচি। যদিও বেশ কিছুক্ষণ পর বসিরহাট পৌঁছন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রথমে বসিরহাট টাউনহলের সামনে গাড়ির ওপরে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। এর পর মহকুমাশাসকের দফতর অভিযান শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। 


ওদিকে মহকুমাশাসকের করণ তখন ঘিরে ছিল পুলিস। বিজেপি কর্মীরা সেখানে পৌঁছতেই পুলিসকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পালটা লাঠি চালায় পুলিস। বিজেপির ইট ও পুলিসের লাঠিতে এক সময় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পুলিসের লাঠিতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় জনতা। 


নিরুপম সেনের মৃত্যুতে ছুটি ঘোষণা রাজ্য সরকারের


বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে জানান, বিজেপির মিছিলে অনৈতিক ভাবে লাঠি চালিয়েছে পুলিস। পুলিসকে যে মিছিলের বাইরে থেকে ইট ছোড়া হয়েছে তা তাদের আগেই জানিয়েছিলাম। তার পরও আমাদের কর্মীদের পিটিয়েছে পুলিস। অন্তত ৫০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বলেও খবর পেয়েছি। 


 



পালটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'ক্ষমতার লোভে পুলিসকে পেটাতেও পিছ পা হচ্ছে না বিজেপি। গোটা রাজ্যে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে তারা। এই অভিযোগে দিলীপ ঘোষের শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলে কিছু করছি না।'


রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৯-এর নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে যে কটি আসনকে বিজেপি পাখির চোখ করেছে তার মধ্যে অন্যতম বসিরহাট। তাই এখানে আন্দোলনের ঝাঁঝকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে চায় তারা। বসিরহাটের বাসিন্দারা অবশ্য বলছেন, স্মরণাতীত কালে পুলিসের এহেন রূদ্রমূর্তি দেখেননি তাঁরা।