নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বামীর মৃত্যুর পর যোগ দিয়েছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। জঙ্গলে বিজেপি নেত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে 'আপত্তিকর অবস্থা'য় পাকড়াও করলেন গ্রামের মহিলারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ায় রানিবাঁধে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয় সূত্রে খবর, রানিবাঁধ এলাকায় বিজেপি নেতা  হিসেবে পরিচিত ছিলেন অজিত মুর্মু। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের আগে খুন হন তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন অজিতের স্ত্রী উর্মিলা। নাম লেখান গেরুয়াশিবিরে। রানিবাঁধ ব্লকে বিভিন্ন সময়ে দলের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। এদিন সকালে স্থানীয় পুনশ্যা গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে কাঠ আনতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মহিলা। তখন বিজেপি নেত্রী উর্মিলা মুর্মুকে, প্রেমিক গুরুপদ মাহাতের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তাঁরা। জঙ্গল দু'জনকেই ধরে নিয়ে আসা হয় গ্রামে। তাঁদের ঘেরাও করে রাখেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। গুরুপদের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন উর্মিলা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, তাঁকে দলের নিজেদের দলে টানার জন্য চক্রান্ত করছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার  করেছেন শাসকদল।


আরও পড়ুন: Basanti: পুজোর মুখে ভয়াবহ ভাঙন, নদীগর্ভে তলিয়ে গেল ২৯ বাড়ি


এদিকে কয়েক মাস আগে আবার  বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির 'দ্বিতীয় বিয়ে'-কে কেন্দ্র রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বাঁকুড়ায়। অভিযোগ ওঠে, গঙ্গাজলঘাটি এলাকার একটি মন্দিরে গিয়ে গাড়ির চালক তথা বিজেপি কর্ম কৃষ্ণ কুণ্ডুকে নাকি বিয়ে করেছেন বিধায়ক! শুধু তাই নয়, বিয়ের পর আবার 'দ্বিতীয় স্বামী'-কে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে নিরাপত্তার আর্জি জানান তিনি। শেষপর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা যখন থানায় পৌঁছন, তখন ফিরে যান শ্বশুরবাড়িতে। স্বামী ও বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় বেআইনিভাবে বিয়ে করার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রূম্পা। সেই এফআইআর-এ স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান,'বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। আর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত করতে পারে না পুলিস'। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)