পুলিসকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ, বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানের আগে ফের বেলাগাম দিলীপ!
`রাতে যদি পুলিসের কেউ রেড করতে আসে, তাহলে তাঁকে ধরে গাছে বেঁধে রাখবেন।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'পশ্চিমবঙ্গের এই হিজড়া পুলিসকে দিয়ে কী হবে!' শিলিগুড়িতে বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানের আগের দিন ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ। তাঁর হুঁশিয়ারি, 'কিছু পুলিস অফিসার আছে, চামচাগিরি করে, এখনও সময় আছে। শুধরে যান, আপনারা যে ইউনিউফর্ম পরেন, তা জনগণের ট্যাক্সে টাকায় তৈরি, ওটা আপনার বাপের বা তৃণমূলের জমিদারি নয়।' তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের পাল্টা প্রতিক্রিয়া, 'দিলীপবাবু একজন অসভ্য লোক। বাংলা শেখেননি, অর্ধশিক্ষিত। যদি নিজেকে সংশোধন না করেন, তাহলে রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকে বহিষ্কার করা উচিত।'
আরও পড়ুন: উত্তরকন্যা অভিযানের আগে অশান্তি চোপড়ায়, বিজেপির বৈঠকে হামলার অভিযোগ
রাত পোহালেই শিলিগুড়িতে বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান। রবিবার দলের এক কর্মসূচি যোগ দিতে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে যান দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে দলের আর এক নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। হুডখোলা জিপে মিছিলের পর জনসভায় ভাষণ দেন দিলীপ। তিনি বলেন, 'রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের লোকজন বিজেপির উপর হামলা করছে, গাড়়িতে ভাঙচুর করছে। আমার গাড়ি দশবারেরও বেশি ভেঙেছে। পশ্চিমবঙ্গের এই হিজড়া পুলিসকে দিয়ে কী হবে!' উপস্থিত জনতাকে দিলীপের পরামর্শ, 'রাতে যদি পুলিসের কেউ রেড করতে আসে, তাহলে তাঁকে ধরে গাছে বেঁধে রাখবেন। সকালে গ্রামের লোকেরা বিচার করবেন! আমাদের পয়সায় পুলিস তৃণমূলের ক্যাডার হয়ে কাজ করছে!' পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে 'অসভ্য লোক' বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। নিজেকে সংশোধন না করলে দিলীপ ঘোষকে রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকেই বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু, সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে অভিনব প্রচার শুরু বন দফতরের
উল্লেখ্য, কলকাতার নবান্নে কায়দাতেই সোমবার শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপির যুব মোর্চা। দলের নেতৃত্বের দাবি, উত্তরবঙ্গে ৮ জেলা থেকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থক। কর্মসূচি বানচাল করার ক্ষমতা নেই তৃণমূলের, তাই পুলিস-প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন প্রকাশ্য জনসভায় পুলিশকে চূড়ান্ত আশালীন ভাষায় আক্রমণ করে বসলেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার উত্তরকন্যা অভিযানে এর প্রভাব পড়বে না তো? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।