নিজস্ব প্রতিনিধি:  'শেষে চৈতন্য হয়। কোনও চৈতন্যই সঠিক সময়ে হয় না। এতদিনে বুঝতে পারলেন, ওই জমিতে চাষ হবে না।' সিঙ্গুরে শিল্প নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি (BJP) নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy)। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর কটাক্ষ, 'অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি মানুষ বোঝেই না। ইন্ডাস্ট্রি শব্দটা জুড়ে দিলে মানুষকে বিভ্রান্ত করাটা সহজ হয়। নতুন সরকার ভাববে, ওই জমিতে কী হবে!' সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন আর এক বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তও (Sabyasachi Dutta)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ন্যানো হারানো জমিতে এবার কৃষিভিত্তিক শিল্প, কী বলছে সিঙ্গুর?


পেরিয়ে গিয়েছে এক দশকেরও বেশি সময়। ন্যানো হারানো সিঙ্গুরে ফের শিল্পের হাওয়া। বাম আমলে যিনি টাটাদের কারখানার বিরোধিতা করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সিঙ্গুর শিল্প স্থাপন করতে চাইছেন। তাও আবার বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে! সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়ে তৃণমূলের একদম প্রথমসারিতে ছিলেন, দলবদলে এখন বিজেপিতে। সিঙ্গুরে প্রস্তাবিত অ্যাগো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক নিয়ে কী বলছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)? সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তাঁর সোজাসাপ্টা জবাব, 'আমি তিন বছর আগেই বলেছিলাম, সিঙ্গুর আন্দোলন আমার রাজনৈতিক জীবনের বড় ভুল। তখন যদি টাটাকে তৃণমূল না তাড়াত, তাহলে বাংলা নির্জলা থাকত না। বেকার যুবক-যুবতীর চাকরির পেতে কোনও সমস্যা হত না।' একসঙ্গে তিনি যোগ করেন, 'মানুষ 'অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি মানুষ বোঝেই না। ইন্ডাস্ট্রি শব্দটা জুড়ে দিলে মানুষকে বিভ্রান্ত করাটা সহজ হয়।'  মুকুলের দাবি, আগামীদিনে বাংলার নতুন সরকার আসছে, সেই সরকারই ঠিক করবে ওই জমিতে কী হবে।' 


আরও পড়ুন: মিডলম্যানের মতো কেন আচরণ করছে রাজ্য, PM-KISAN-র টাকা নিয়ে তোপ Dhankhar-এর


সিঙ্গুর পর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। এখন অবশ্য দলবদলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনিও।  হুগলিতে এক জনসভা সব্যসাচী বলেন, 'সিঙ্গুরে চপশিল্প ছাড়া আর কিছুই হবে না। কারণ, উনি (মুখ্যমন্ত্রী) তো বলেই দিয়েছেন, বেকারদের চিন্তা কীসের! চপ শিল্প করো।' উল্লেখ্য, বাম আমলে এই সিঙ্গুরে একলাখি গাড়ি ন্যানো তৈরির কারখানা করতে চেয়েছিল টাটারা। কিন্তু কৃষি জমি অধিগ্রহণ করে শিল্পের বিরোধিতা করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবলে আন্দোলনে মুখে শেষপর্যন্ত কারখানাটি সরিয়ে নেওয়া যাওয়া হয় গুজরাটে। ২০১১ সালে পালাবদলের পর সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশে জমি ফেরত পান 'অনিচ্ছুক' কৃষকরা।