নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা ভোটের মুখে নাগরিকত্ব আইনকে হাতিয়ার করে যখন প্রচারে নেমেছেন বঙ্গ BJP-র নেতারা, তখন ভিন্ন সুর শোনা গেল খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) গলায়! করোনা পরিস্থিতিতে CAA যে এখন ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে, বাংলায় এসে তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি। বোলপুরে রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, 'আপাতত CAA কর্মসূচি কার্যকর করা হচ্ছে না। আগে টিকাকরণ শুরু হোক, করোনার শৃঙ্খল ভাঙুক। তারপর এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে থেকেই রাজ্যের ৩ IPS-কে তলব, সাফ জানালেন Amit Shah


উল্লেখ্য, সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA পাস হওয়ার পর বাংলায় কম অশান্তি হয়নি। অবরোধ-বিক্ষোভ-ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া, বাদ যায়নি কিছুই। CAA বিরোধিতায় কলকাতায় একে এক এক মিছিলে হেঁটেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্বয়ং। শেষপর্যন্ত এ রাজ্যে আর কার্যকর করা হয়নি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA। সেই ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে অনেকটা সময়। আর কয়েক মাস পরেই বিধানসভা ভোট।  BJP যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে কি এ রাজ্যে বাংলাদেশি শরণার্থী, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা নাগরিকত্ব পাবেন? ভোটের প্রচারে তেমনই আশ্বাস দিচ্ছেন দলের রাজ্য নেতারা। 


চলতি মাসের গোড়ার দিকে বারাসতে 'আর নয় অন্যায়' কর্মসূচিতে যোগ দেন BJP নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। সেখানে তিনি বলেন, 'মোদি সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটা তারা অবশ্যই পালন করবে। রাজ্য সরকার বিরোধিতা করলেও নাগরিকত্ব দেওয়া থেকে আটকে রাখতে পারবে না। জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার শুধু ৩০ শতাংশ মানুষকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। বাকি ৭০ শতাংশ মানুষের দিকে তাকাচ্ছেই না।'


আরও পড়ুন: 'ঝাড়খণ্ড থেকে লোক, মুর্শিদাবাদ থেকে ১০০-র বেশি গাড়ি', শাহের রোড শোকে কটাক্ষ Anubrata-র


প্রথমে মেদিনীপুরে মেগা যোগদান পর্ব, তারপর বোলপুরে রোড-শো। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) দু'দিনের বাংলার সফর শেষ হল রবিবার। সফর শেষে রীতিমাফিক এদিন বোলপুরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সাংবাদিকের প্রশ্নে জবাবে এ রাজ্যে CAA কার্যকর হওয়া নিয়ে যাবতীয় জল্পনা জল ঢেলে দিলেন শাহ (Amit Shah)।  রাজনৈতিক মহলের মত, একুশের নির্বাচনে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে BJP। দুশোরটিরও বেশি আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে যদি ফের নতুন করে অশান্তি শুরু হয়! সেই আশঙ্কাতেই আপাতত CAA ইস্যুটিকে হিমঘরে পাঠিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।