নিজস্ব প্রতিবেদন: এলপিজি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার বিজেপি নেতা রণজিত্ মজুমদার। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতার জোড়াসাঁকো থানার পুলিস। রণজিত্ বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিধাননগরে বিজেপির প্রাক্তন নেতা। অভিযোগ, রান্নার গ্যাসের ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপিরই নেতা-কর্মীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য রণজিত মজুমদার রাজ্য ও কেন্দ্রের সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন। মূলত কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুবিধা কী ভাবে এরাজ্যের মানুষ পাচ্ছেন তা প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'আমাদের নেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। দল রণজিত্ বাবুর পাশে আছে। মুর্শিদাবাদ থেকে একজনকে তুলে এনে বয়ান লিখিয়ে সেই বয়ানের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে রণজিত বাবুকে। এর বিরুদ্ধে আদালতে লড়াই করবে বিজেপি।' 


'খেতে দেব', ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে


গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রথম LPG কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আনে Zee ২৪ ঘণ্টা। জানা যায়, রান্নার গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পাইয়ে দেওয়ার নামে মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মীর কাছ থেকে মোটা টাকা তোলা হয়েছে। রণজিত মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিল্লির কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগে কোন এলাকায় রান্নার গ্যাসের নতুন ডিস্ট্রিবিউটরশিপ দেওয়া হবে তা আগেই জেনে যেতেন তিনি। এর পর সেই এলাকার বিজেপি নেতা-কর্মীদের তালিকা পাঠানো হত তেল কোম্পানিগুলির কাছে। এভাবেই চলত স্বজনপোষণ। 


বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করলেও পুলিস জানিয়েছে, জেরায় একাধিক পদস্থ বিজেপি নেতার নাম উল্লেখ করেছেন রণজিত মজুমদার। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পালটা অভিযোগ, 'ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।'