নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদায়। মণ্ডল সভাপতিকে অস্ত্র পাচারের সময় হাতেনাতে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে যায় কুখ্যাত এক অস্ত্র পাচারকারী। ধৃতের নাম সন্দীপ রায় ওরফে সাবু। জানা গিয়েছে, ধৃত সন্দীপ রায় ওরফে সাবু জলপাইগুড়ির কুখ্যাত অস্ত্র পাচারকারী। ধৃতের কাছ থেকে একটি রিভলবার সহ বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। আটক করা হয়েছে বাইকটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে মারিশদার ভাজাচাউলিতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শ্রীকৃষ্ণ মান্নাকে রিভলবার সরবরাহ করতে এসেছিল সাবু। রাতে অচেনা ব্যক্তিদের সঙ্গে মত্ত অবস্থায় এক বাইকে মণ্ডল সভাপতিকে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরা বাইক আটকানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, মণ্ডল সভাপতির বাইকটি আটকানোর চেষ্টা করলেই পিক আপ দিয়ে পালাতে যায় সবাই। তখনই পাল্টি খায় উল্টে যায় বাইকটি। তাতে পড়ে গিয়ে চোট লাগে মণ্ডল সভপাতি শ্রীকৃষ্ণ মান্নার মাথায়। বেগতিক বুঝে তৎক্ষণাৎ পালিয়ে যায় ২ দুষ্কৃতী। তবে মণ্ডল সভাপতি সহ কুখ্যাত দুষ্কৃতী সাবুকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। এরপরই তল্লাশিতে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র।


আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পরই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন দুজনকে। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু'জনকে উদ্ধার করে। বর্তমানে আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মণ্ডল সভাপতি শ্রীকৃষ্ণ। অন্যদিকে এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিসের সঙ্গে একযোগে তদন্ত শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, জলপাইগুড়িতে সাবুর বড়সড় গ্যাং রয়েছে। অস্ত্র পাচারের এই চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত, ধৃত সন্দীপ রায় ওরফে সাবুকে জেরা করে তার সন্ধান পেতে চাইছে পুলিস।


আরও পড়ুন, বঙ্গে বড় ভাঙন বিজেপির, একাধিক কর্মী, সাধারণ সম্পাদক যোগ দিল তৃণমূলে


যদিও বিজেপির তরফে অস্ত্র পাচারকারীর সঙ্গে মণ্ডল সভাপতির জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, শাসকদলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পুলিস এই কাজ করেছে। ফাঁসানো হচ্ছে মণ্ডল সভাপতিকে। অন্যদিকে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। শাসকদল তোপ দেগেছে, "বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জেলায় এসে বারে বারে গন্ডগোল করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। এটা তার প্রমাণ। পুলিস প্রশাসন আইনের কাজ করবে। তদন্তে পরিষ্কার জানা যাবে।"