কমলিকা সেনগুপ্ত: পাহাড়ে হামলার মুখে পড়লেন রাজু বিস্ত। তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ। ঘটনার প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করে গেরুয়া শিবির। সেখানে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজু বিস্ত অভিযোগ করেছেন, কালিম্পঙে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। মন্দিরখোলায় তাঁর উপরে চড়াও হয় ৮০-১০০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তরা সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। অভিযোগ, সাংসদের দেহরক্ষীকেও মারধর করা হয়েছে। জখম হয়েছেন বিজেপি ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বেশ কয়েকজন সমর্থক। রাজু বিস্তের অভিযোগ, গোটা ঘটনায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে রাজ্য পুলিস। হামলাকারীদের আটকানোর কোনও চেষ্টাই করেনি। 




ঘটনার প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি। পুলিস আটকানোর চেষ্টা করলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। রাজু বিস্ত দাবি করেছেন, হামলাকারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর বিজেপি কর্মীদের ধরছে পুলিস। 


ঘটনার নিন্দা করে বিনয় তামাং গোষ্ঠীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুং। বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, রাজু বিস্তের উপরে হামলা কাপুরুষোচিত। যারা নিজেদের বুথেই জিততে পারেনি, তারাই জনপ্রতিনিধির গায়ে হাত তুলছে। আমাদের মাতৃভূমিকে বিকিয়ে তারা জিটিএ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য পদ পেয়েছেন। সাংসদকে হামলা করা হচ্ছে, ঠিক তখন মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা তৃণমূলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। সাংসদই নিরাপদ নন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে? 


আরও পড়ুন- 'নিখোঁজ' শোভন-বৈশাখী, বিজ্ঞাপন দেবে নাকি বিজেপি? নেতৃত্বকে প্রশ্ন কর্মীদের