Soumitra Khan On Separate State: বঞ্চিত বিশাল এই এলাকা, জঙ্গলমহলকে নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি সৌমিত্র খাঁর
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সৌমিত্র খাঁ কী প্রলাপ বকছেন তার জবাব দেওয়া বেশ কঠিন
মৃত্যুঞ্জয় দাস: গতবছর জানুয়ারি মাসে রাঢ়বঙ্গকে নিয়ে পৃথক রাজ্যের ইঙ্গিত দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এবার প্রায় একই দাবি তুললেন সৌমিত্র খাঁ। এবার তাঁর দাবি, জঙ্গলমহলকে নিয়ে পৃথক রাজ্য করতে হবে। তাঁর দাবি, রাঢ় বাংলাকে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে রাখার কোনও মানে হয় না।
সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, কলকাতা যেভাবে জঙ্গলমহলকে সবদিক থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে তাতে আমি জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবির পক্ষে সহমত। এনিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করব।
কেন এমন দাবি? সৌমিত্র খাঁ বলেন, বীরভূমে যে কয়লা খাদান হবে তার টাকা তুলে নিয়ে যাবে কলকাতা। এখানকার পাথর নিয়ে কলকাতার বাবুদের বাড়ি তোলা হচ্ছে। আর বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, আসানসোল, ঝাড়গ্রাম মানুষ দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের কাজ দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যে ২৩টি জেলা ভেঙে ৪৬টি জেলা করা হচ্ছে। তাহলে আমরা আলাদা জঙ্গলমহল রাজ্য কেন চাইব না? এই এলাকার মানুষ হিসেবে আমার বাঁচতে চাই।
এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এখন একটু গরম পড়েছে, আবার অর্জুন সিং জোর ধাক্কা দিয়েছেন, অন্যদিকে সুজাতা খাঁ অনেক যুক্তিসম্মত রাজনীতি করছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সৌমিত্র খাঁ কী প্রলাপ বকছেন তার জবাব দেওয়া বেশ কঠিন। এটা সুজাতা আরও ভালে বলতে পারবে। ও আলাদা রাজ্য চায় নাকি এখানে থাকতে চায়। এদেরকে বলি লজ্জা হয় না! এক বছর হল বিধানসভা নির্বাচন গিয়েছে, তখন তো কই আলাদা রাজ্যের কথা বলেননি। অর্জুন সিং তো বলেই দিয়েছেন, এরা সব এসি ঘরে বসে বিবৃতি দেওয়া, ফেসবুকে রাজনীতি করা লোকজন। এদের সঙ্গে বাংলার মাটির ও সংস্কৃতির কোনও যোগাযোগ নেই। এদের কথার কী উত্তর দেব!