নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা ভোটের আগে যে ছবি দেখা গিয়েছিল তৃণমূল শিবিরে। ভোটের ফল বের হওয়ার একমাসের মধ্যে সেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে বিজেপিতে। বেসুরো ও দল ভাঙনের ঠেলায় বর্তমানে কার্যত নাজেহাল গেরুয়া শিবির। বিশেষ করে মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্য়াবর্তন যেন সেই বিপদ আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। শনিবার বড়সড় ভাঙনের মুখ দেখল উত্তর ২৪ পরগনার জেলা বিজেপি। তৃণমূলে ফিরলেন উত্তর ২৪ পরনা জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি তথা মুকুল ঘনিষ্ঠ তপন সিনহা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধানসভা ভোটে আশানুরূর ফলাফল না হওয়ায় বিজেপিতে বেসুরোদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। দলীয় লাইনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বহু বিজেপি নেতা। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, সুনীল সিং তালিকাটা বেশ লম্বা। এদের তৃণমূলের ফেরার জল্পনা মাথাচাড়া দিতেই, কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। বিভিন্ন জায়গায় এদের বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়েছে। তবে তপন সিনহার ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে পড়েনি কোনও পোস্টার। বিরোধিতাও করেনি কেউ। ফলে এদিন গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে ফিরে তপন সিনহা ওরফে খটে। শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা পুরসভার টাউন হলে দলেরই এক অনুষ্ঠানে তাঁকে ফিরিয়ে নিল তৃণমূল নেতৃত্ব। গোবরডাঙা পুরসভার প্রশাসক সুভাষ দত্তের হাত ধরে ফের পুরনো দলে প্রত্যাবর্তন করেন তপন সিনহা। কেবল তিনি নন, গোবরডাঙা শহর বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী শর্মিষ্ঠা বালা রায়ও, নিজের অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন।


আরও পড়ুন: কোভিড রিপোর্ট নিয়ে দ্বন্দ্ব! যুবকের মৃত্যুতে চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ RG Kar হাসপাতালের বিরুদ্ধে


আরও পড়ুন: Micro-Containment Zone: ১৬টি জেলায় ২৫১টি! টিকাকরণ ও টেস্টে জোর ওই সব অঞ্চলে


তৃণমূলে যোগ দিয়ে তপন সিনহা বলেন, 'গোবরডাঙার মাটিতে কোনদিন এই হানাহানি হয়নি। বিজেপি নেতৃত্বের কর্মপন্থা মানতে পারছিলাম না। তাই ছেড়ে এসেছি।' এই প্রসঙ্গে গোবরডাঙা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর দত্ত বলেন, 'গোবরডাঙায় যাঁরা বিজেপি করতেন তাঁরা দলের উপর হতাশ। বিজেপির মিথ্যাচারে তাঁরা ক্ষুব্ধ। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে তাঁরা আজ যোগ দিলেন।'