প্রশাসনিক ভবন অভিযানের পরিকল্পনা বিজেপির
এর আগে লালবাজার অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি।
অঞ্জন রায়
সেপ্টেম্বরের শেষে নবান্ন বা লালবাজার অভিযানে নামছে বিজেপি। আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে দু'দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। গেরুয়া শিবিরের এই অভিযানের দিন-ক্ষণ এবং কৌশল ঠিক হবে রাজ্য কমিটির বৈঠকেই। সামগ্রিকভাবে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা, মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয় এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতেই মূলত অভিযান চালাবে পদ্ম শিবির। অনেকটা সিপিআই (এম)-এর নবান্ন অভিযানের কায়দাতেই রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ভবনে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে পদ্ম ব্রিগেড।
উল্লেখ্য, এর আগে লালবাজার অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তবে সেই অভিযান খুব একটা 'সফল' হয়নি। সে যাত্রায় গৈরিক শিবিরের পরিকল্পনার ত্রুটি সামনে চলে এসেছিল বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট মহল। কিন্তু, এবার আর সেইসব ত্রুটির পুনরাবৃত্তি চাইছে না রাজ্যে 'প্রধান বিরোধী শক্তি' হিসাবে 'প্রত্যয়ী' বিজেপি। মুকুল রায় এদিন বলেন, পুজোর পর মঞ্চ বেঁধে লোকে দলে দলে বিজেপি-তে যোগ দেবে। ব্রিজ ভাঙার ঘটনায় মুকুল রায়, রাহুল সিনহা-সহ বিজেপির অনেকেই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
এদিকে, দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্যের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) রাজ্য শাখার মুখপাত্র জিষ্ণু বসু। তিনি বলেছেন, "স্বাধীনতার পর থেকে এ রাজ্যে হিন্দুরা সব থেকে বেশি বঞ্চিত হয়েছে। তাই পুজো কমিটিকে টাকা দিয়ে রাজ্য সরকার পাপ ধোয়ার চেষ্টা করছে। এতে কোনও লাভ হবে না। শুকনো চিড়ে কখনও গলা দিয়ে নামে না"। আরও পড়ুন- প্রত্যেক পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, ১০ সেপ্টেম্বর প্রতিটি পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, রাজ্যে মোট ২৮ হাজার পুজো কমিটি রয়েছে। অর্থাত্, এই বাবদ ২৮ কোটি টাকা ব্যায় হবে রাজ্য সরকারের। আরও পড়ুন- মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনার তদন্তে চুক্তির প্রতিলিপি নিয়ে মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়ারকে হাজির হতে বলল কলকাতা পুলিস