নিজস্ব প্রতিবেদন: দু’দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন কলকাতায়, সে সময় নীরবে এই শহর ঘুরে গেলেন ‘সেনাপতি’ অমিত শাহের দূত। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান, বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে গোটা নজর যখন তাঁর দিকে, কার্যত নিভৃতে রবিবার সকালে ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য বিজেপির কার্যলয়ে প্রবেশ করলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব। উদ্দেশ্যে বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন সভাপতি নির্বাচন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সভাপতি পদে সাংসদ দিলীপ ঘোষের প্রত্যাবর্তন নাকি পরিবর্তন, এ নিয়ে রয়েছে বিস্তর জল্পনা। দলের মধ্যেই বিভিন্ন মত ঘোরাঘুরি করছে। তারই মধ্যে ভূপেন্দ্র যাদব কোর কমিটির ১৫ জনের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করলেন। নতুন সভাপতি নির্বাচনে খোলামেলা মত নিলেন কর্মীদের কাছ থেকে। সূত্রের খবর, দিলীপকে ফের সভাপতি পদে দেখতে চাইছেন না অনেকেই। তবে, এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, আলাপ-আলোচনা করে একটা স্পষ্ট রূপরেখা নিয়েই বিকেলে রওনা দেন ভূপেন্দ্র যাদব। এ দিন রাতেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন তিনি।



আরও পড়ুন- নির্দিষ্ট পোশাক-বিধি না মানলে আর ঢোকা যাবে না কাশী বিশ্বনাথের গর্ভগৃহে


তবে, দিলীপ ঘোষ বিজেপির সভাপতি পদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বঙ্গে গেরুয়ার জোয়ার এসেছে , এ কথা শত্রুপক্ষও মানতে দ্বিধাবোধ করে না। শাসক দলকে চোখে চোখ রেখে টেক্কা দিতে কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করা দিলীপের জুড়ি নেই। এমন প্রবাদ দলের অন্দরে শোনা যায়। নীচু তলার কর্মীদের আস্থা অর্জনও সহজেই করতে পেরেছেন তিনি। সাংগঠনিক দিলীপ ঘোষ কতটা পোক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না। কাউন্সিলর থেকে সাংসদ ধারাবাহিক তাঁর জয় রাজ্য বিজেপির ইতিহাসে নজিরবিহীন। ঠান্ডা ঘরে না থেকে মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়ানো ওই মানুষটির মধ্যে ‘সরলতা’ খুঁজে পান অনেক কর্মীই। তাই রাজ্য সভাপতির ঘনিষ্ঠদের প্রশ্ন, ২০২১-কে লক্ষ্য রেখে সমুখ সমরে লড়তে গেলে দিলীপের বিকল্প আদৌ কি মূরলীধর সেন লেনের কার্যালয়ে রয়েছে? হয়ত সময়ই বলবে।