নিজস্ব প্রতিবেদন : পাশবালিশ নিয়ে রাস্তায় শুয়ে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া 'নিদান' মেনে এদিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পাশবালিশ নিয়ে রাস্তার পাশে শুয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। রায়গঞ্জ শহরে পালিত হয় এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়গঞ্জ শহরের এমজি রোডে দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে রাস্তার পাশে প্রথমে সতরঞ্চি বিছিয়ে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী। তারপর সেখানে পাশবালিশ নিয়ে শুয়ে পড়েন। বিজেপির এই অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখতে পথচলতি প্রচুর মানুষ রাস্তায় জড়ো হয়ে যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী তোপ দাগেন, "করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনও সঠিক পরিকাঠামো নেই। বাইরে থেকে আসার পর তাঁদের শুধু নাম লিখেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার জন্যেই জেলা ও রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।" তিনি আরও অভিযোগ করেন, "সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্টো নিদান দিচ্ছেন, করোনাভাইরাসকে পাশবালিশ করেই চলতে হবে  রাজ্যের মানুষকে! মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ মেনেই আমরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পাশবালিশকে ভ্যাকসিন বানিয়ে শুয়েছি। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।" এরপর ব্লকে ব্লকেও বিজেপির তরফে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান বিশ্বজিৎ লাহিড়ী। 


অন্যদিকে, বিজেপির এই প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকার বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী কী বোঝাতে চেয়ে কী বলেন সেটা বোঝার মতো মস্তিষ্ক ওদের নেই। তাই তো ওরা কখনও গোমুত্র খায়, কখনও গোবর খায়। আসলে মমতা বন্দোপধ্যায় বাংলার মানুষের পাশে আছে, আর বাংলার মানুষও দিদির সাথে আছে। এটা বুঝতে পেরেই ওরা লাইমলাইটে আসার জন্য যা মন চায় তাই করার চেষ্টা করছে। আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে আছি। সরকার ওদের জন্য ২ মাসের রেশন ফ্রি করেছে। আমরা সব কোয়ারেন্টিন সেন্টার ঘুরছি। কোথাও কোনও সমস্যা নেই।"


আরও পড়ুন, তীব্র আলো বেরচ্ছে, দিঘার সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকার 'গোলাকার বস্তু'কে ঘিরে চাঞ্চল্য!