`যত বড়ই আইপিএস অফিসার হোন, যাঁরা তৃণমূলের পা চাটছেন, তাঁদের জেলের ভাত খাওয়াব`
`আগামীতে বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলাও হবে। আর এটা যেন মনে রাখেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : "এখন যত পারেন মিথ্যা কেস দিন আমাদের নামে। আমরা সরকারে এসে সমস্ত মিথ্যা কেস তুলে নেব। পুলিস তৃণমূলের দালালি করছে। এসপি-রা তৃণমূলের সভাপতি হয়ে গিয়েছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। জেলের ভাত পুলিসদেরও খেতে হবে।" হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিন দুপুরে মালবাজারে দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে ওদলাবাড়ি বাজারে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেয় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এলাকায় তৃণমূল ও পুলিস অত্যাচার করছে বলে রাজ্য সহ সভাপতির কাছে অভিযোগ জানায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ করেন, বিনা দোষে তাঁদের গ্রেফতার করছে এলাকার পুলিস প্রশাসন। একথা শোনার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, "আগামীতে বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলাও হবে। আর এটা যেন মনে রাখেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। যেভাবে সারা রাজ্যে তৃণমূলের দলদাস পুলিস ১ লক্ষ ৭৪ হাজার বিজেপি কর্মী-নেতাদের মিথ্যা মামলায় জেলে ঢোকাচ্ছে। তার বদলা হবে। আজ যেসব পুলিস অফিসারেরা তৃণমূলের পা চাটছেন, তাঁদের আগামী দিন জেল খাটাব আমরা। যত বড়ই আইপিএস অফিসার হোক না কেন।" আরও বলেন,"এখন যত পারেন মিথ্যা কেস দিন আমাদের নামে। আমরা সরকারে এসে সমস্ত মিথ্যা কেস তুলে নেব। পুলিস তৃণমূলের দালালি করছে। এসপি-রা তৃণমূলের সভাপতি হয়ে গিয়েছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। জেলের ভাত পুলিসদেরও খেতে হবে।"
একইসঙ্গে আমফানের ত্রাণ বণ্টন নিয়েও তোপ দাগেন বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি। বলেন, "আমফানে ক্ষতিগ্রস্তরা কিছুই পাচ্ছে না। তৃণমূল লুটের সরকার। সিন্ডিকেটের সরকার। যাদের দোতলা, তিনতলা বাড়ি আছে, তাঁরা টাকা পেয়ে যাচ্ছে। অথচ যাঁরা সব কিছু হারিয়েছেন, তাঁরা কিছুই পাচ্ছেন না। গরিব মানুষদের জন্য রেশন আসছে, আর তৃণমূল নেতারা সেই রেশন লুঠ করে নিয়ে যাচ্ছে। এটা সরকার চলছে না, এটা সার্কাস চলছে।" ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি করলে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশকেও এদিন কটাক্ষ করেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, কাজ দেওয়ার নামে ডেকে হাসপাতালে মহিলাদের যৌন হেনস্থা, ডেপুটি সুপারের কুকীর্তি ভাইরাল