নিজস্ব প্রতিবেদন:  “আমরা  হাইকোর্টের রায়ে অসন্তুষ্ট। সুপ্রিম কোর্টে  দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করা হয়েছে। ” রথযাত্রা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে  দ্বারস্থ হওয়ার পর জানালেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, “অক্টোবর থেকে বিষয়টি আটকে রয়েছে। বেশি দেরি হলে স্কুল খুলে যাবে। জেলায় জেলায় কর্মসূচি করতে অসুবিধা হবে। তাই আমরা দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করেছি।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার রাজ্যের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য বিজেপি। এদিন বিজেপির তরফে সুপ্রিম কোর্টে আপিল মামলা  দায়ের করা হয়।


 প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর রথযাত্রা নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত। এর ফলে শনিবার রথযাত্রা বার করতে পারে না বিজেপি।


আরও পড়ুন: বিশ বাঁও জলে বিজেপির রথযাত্রা, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ


প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন করেন, “সব রিপোর্ট খতিয়ে না দেখে কী করে রায়?” প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, এবার সব গোয়েন্দা রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে হবে।” এরপরই এই মামলা ফের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ঘরে ফেরত্ পাঠান তিনি।


প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার  রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিয়ে বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি দেয় বিচারপতি তপোব্রত চক্রোবর্তীর সিঙ্গর বেঞ্চে। শর্তসাপেক্ষে রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয় বিজেপিকে।


রথযাত্রায় সায় দিয়ে আদালত  ছিল কিছু শর্ত। বিজেপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যেখানে রথ বেরোবে, তার ১২ ঘণ্টা আগে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হবে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায় বিজেপিকে নিতে হবে। রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আইন শৃঙ্খলা বজায় পর্যাপ্ত পুলিস কর্মী মোতায়েন করতে হবে প্রশাসনকে। কিন্তু এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।


রাজ্য সরকারের তরফে এজি ও পুলিসের তরফে অভিষেক মনু সিংভি গত শুক্রবার প্রধান বিচারপতির কাছে সব গোয়েন্দা রিপোর্ট জমা দিয়ে দেন। সওয়াল জবাবের শুরুতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “আপনারা কেন রথ আটকাতে চাইছেন। কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ রয়েছে কি?” রাজ্যের তরফে এজি বলেন, “কাল হলফনামা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দিতে দেওয়া হয়নি। যে গোয়েন্দা রিপোর্টের উপর ভরসা করেছি সেটাও দেখা হয়নি। সব রিপোর্ট দেখা হয়নি।” এরপরই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করেন প্রধান বিচারপতি।


কিন্তু তাতে বেকায়দায় পড়ে যায় রাজ্য বিজেপি। কারণ গত শনিবার থেকেই শীতকালীন ছুটিতে পড়ে যায় হাইকোর্টে। সেক্ষেত্রে তখনই সুপ্রিয় কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।