জয়প্রকাশকে মারধরে মূল অভিযুক্ত তারিকুল শেখ সহ ৯ তৃণমূল কর্মীর নামে পুলিসে অভিযোগ বিজেপির
যদিও, জয়প্রকাশ মজুমদার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি পুরোটাই মানুষের সমবেদনা আদায়ে বিজেপির মস্তিষ্কপ্রসূত `সাজানো ঘটনা` বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের নদিয়া জেলার পর্যবক্ষেক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করিমপুরের ঘিয়াঘাটে জয়প্রকাশ মজুমদারকে মারধর, লাথি মারা ঘটনায় পুলিসে অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি। মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে তারিকুল শেখ নামে এক যুবকের। তাঁকে জয়প্রকাশ মজুমদারের পিঠে লাঠি মারতে দেখা যায়। তারিকুল শেখ সহ আরও ৯ তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। অভিযুক্তরা হল তারিকুল শেখ, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, কালামউদ্দিন বিশ্বাস, দুখু মালিথা, খুদাবক্স শেখ, দিনারুল বিশ্বাস, মাসাদুল আলম, বঙ্কিম মণ্ডল ও হাবিব বিশ্বাস।
যদিও, জয়প্রকাশ মজুমদার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি পুরোটাই মানুষের সমবেদনা আদায়ে বিজেপির মস্তিষ্কপ্রসূত 'সাজানো ঘটনা' বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের নদিয়া জেলার পর্যবক্ষেক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পাল্টা তোপ দাগেন, সকাল থেকেই ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেন তিনি।
এদিন দুপুরে ঘিয়াঘাট ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন জয়প্রকাশ মজুমদার। বুথে এসে দেখেন এক প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দুটি ফোন রয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ করেন তিনি। এরপরই দেখা যায়, বুথ লাগোয়া একটি ঘরে ১১ জন মিলে রান্নাবান্না করছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন, করিমপুরে জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি, মারধর! প্রতিবাদে কমিশনে নালিশ মুকুল রায়ের
করিমপুরের প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। ফোনে ঘটনার ছবি দেখান তিনি। বিজেপি প্রার্থীকে নির্যাতনের দায়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মুকুল রায়। তিনি তোপ দাগেন, "কোনও নির্বাচনে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখেননি। নদিয়ার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিৎ।" একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব করিয়েছেন। উপনির্বাচনে হারবে জেনেই তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।"