নিজস্ব প্রতিবেদন: খানাকুলের নতিবপুরে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড়া আরামবাগ। নিহত কর্মী সুদর্শন প্রামানিকের দেহ নিয়ে এসে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-থুতনিতে মাস্ক; সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই, বাগবাজারে জমিয়ে ভারতমাতার পুজো বিজেপির  


শনিবার সকালের ওই ঘটনার পর বিকেলেই মৃতদেহ নিয়ে আরামবাগ চলে আসেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। শহরে ঢোকার মুখে গৌরহাটি মোড়ে রাস্তায় মৃতদেহ রেখে রাস্তায় বসে পড়েন দলের কর্মীরা। অবরোধস্থলে চলে আসেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয় পরিস্থিতি সামাল দিতে।


রাস্তায় বসে বিজেপি কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপির ২ সাংসদ। গৌরহাটি মোড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় কলকাতা-আরামবাগ রোডের সব গাড়ি থমকে যায়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা শহর। যানবাহনের বিশাল লাইন হয়ে যায় রাস্তায়।


দলের কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় পুরুলিয়ার সংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরে নিয়েছেন এরাজ্য ভারতের মধ্যে নয়। তা নাহলে কেন তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের জন্য একরম ঘটনা ঘটল। এরকম প্রশাসন না থাকাই ভালো। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার ১২ ঘণ্টার বনধ পালিত হবে খানাকুল এলাকায়।


আরও পড়ুন-পুনেকে ‘ব্রিটিশ মুক্ত’ করেছিলেন একাই, বাসুদেব বলবন্ত ফাড়কেকেই দেখে বঙ্কিমের আনন্দমঠ!


উল্লেখ্য, শনিবার সকালে স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বেধে যায় খানাকুলের নতিবপুরে। দুপক্ষের সংঘর্যে এক ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। নিহত ওই ব্যক্তির নাম সুদর্শন প্রমাণিক। তিনি বিজেপির কর্মী।