নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতার পর বোলপুর। স্বরূপ গড়াইয়ের মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ-অবরোধ চলল দিনভর। বিকেলে আত্মীয় পরিজনরা দেহ নিতে বোলপুর হাসপাতালে পৌছলে, শর্ত চাপায় পুলিস। বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। টায়ার জ্বালিয়ে-পথ অবরোধে শুরু হয়।  উত্তাল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। রাত সাড়ে ১১টায় বিজেপি দেহ হাতে পায় পরিবার। তা বরফ দিয়ে রাখা হবে। বুধবার সকালে সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য।       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতা থেকে বোলপুর। দিনভর টানাপোড়েনের পর সোমবার রাতে বাড়ি ফিরে যান স্বরূপ গড়াইয়ের পরিবার। আর তারপরই দেহ নিয়ে বোলপুর রওনা দেয় পুলিস। হুলুস্থুল বাধবে। আশঙ্কা ছিল। হলও তাই। পরিবারকে অন্ধকারে রেখে কেন দেহ আনা হল কলকাতায়? কার অনুমতিতে ? প্রশ্ন তুলে, সকালেই হাসপাতালে হাজির স্থানীয় বিজেপি নেতারা।



দিনভর দেহ ছিল বোলপুর হাসপাতালের মর্গে। কলকাতা থেকে বিকেলে বোলপুর  পৌঁছন নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী-দাদা। সোজা সুপারের ঘরে। জটিলতার তখনও বাকি। এসডিপিও-র অনুমতিতেই হাসপাতালে দেহ রাখা হয়। তাই, দেহ নিতে গেলে এসডিপিও-র অনুমতি লাগবে। জানিয়ে দেয় পুলিস। পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে একাধিক শর্তও চাপায় পুলিস। এতেই ফের ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। শুরু হয় অবরোধ।



আরও পড়ুন- চন্দননগরে মহরমের তাজিয়ার তলোয়ারের আঘাতে জখম হলেন এসআই


পুলিসের সঙ্গে বচসা বাধে অবরোধকারীদের। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। টানাপোড়েন চলতে থাকে।গোটা বীরভূম জুড়ে পথ অবরোধে বসে যান দলীয় কর্মীরা। শেষমেশ পুলিসের শর্ত মেনেই দেহ নিতে রাজি হয় পরিবার। রাত সাড়ে ১১টায় দেব পৌঁছয় গ্রামে। বরফ দিয়ে তা রাখা হবে। বুধবার সকালে সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য। বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় যা টানাপোড়েন হল, তা নজিরবিহীন। 


আরও পড়ুন- মালদহে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহরমের তাজিয়া, গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত শিশু