`জয় শ্রী রাম` দিদি- বিনীত বিজেপি, ১০ লক্ষ পোস্টকার্ড যাচ্ছে মমতার বাড়িতে
সপ্তাহখানেক আগে `জয় শ্রী রাম` লেখা পোস্টকার্ড বিলি করেছে বিজেপির যুব শাখা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটে বাংলায় আশাতীত সাফল্যের পর আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে গেরুয়া ব্রিগেড। তৃণমূলকে কোণাঠাসা করার কোনও সুযোগই ছাড়ছে না তারা। শনিবারও বিজেপির 'জয় শ্রী রাম' ঘিরে দক্ষযজ্ঞ বাঁধে দক্ষযজ্ঞ বাঁধে কাঁচড়াপাড়ায়। বিজেপি কর্মীদের উপরে লাঠিচার্জও করে পুলিস। তার প্রতিবাদে মমতার বাড়িতে 'জয় শ্রী রাম' লেখা ১০ লক্ষ পোস্টকার্ড পাঠানোর কথা ঘোষণা করলেন অর্জুন সিং।
শনিবার ঘটনার সূত্রপাত কাঁচড়াপাড়ায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে বৈঠক ঘিরে। ওই বৈঠকে ছিলেন সুজিত বসু, মদন মিত্র, নির্মল ঘোষ-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপরই বাইরে জমায়েত করতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, ওই পার্টি অফিস মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের নামে। অফিসের বিদ্যুতের বিলও তাঁর নামে। বাইরে চলতে থাকে অবিরত 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিস লাঠিচার্জ করে। আর তারপরই ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। বিজেপির বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কাঁচড়াপড়া। পথ অবরোধের পর রেল অবরোধও করেন বিক্ষোভকারীরা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বারাকপুরের সাংসদ বলেন,'দিদির বাড়িতে ১০ লক্ষ 'জয় শ্রী রাম' পোস্টকার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি'।
সপ্তাহখানেক আগে 'জয় শ্রী রাম' লেখা পোস্টকার্ড বিলি করেছে বিজেপির যুব শাখা। দমদমে প্রধানমন্ত্রীর সভাতেও পোস্টকার্ড বণ্টন করা হয়েছিল। বিজেপির যুব মোর্চা দাবি করেছিল, ১০ লক্ষ পোস্ট কার্ড বিলি করা হবে। খালি জয় শ্রী রাম লিখে নিকটবর্তী লেটারবক্সে ফেলে দিতে হবে। সেই ১০ লক্ষের কথাই কি বলছেন অর্জুন সিং, তা স্পষ্ট নয়। অর্জুন যদি আলাদা করে ১০ লক্ষ পাঠান, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যেতে চলেছে ২০ লক্ষ 'জয় শ্রী রাম' লেখা পোস্টকার্ড।
চন্দ্রকোনায় মমতার কনভয়ের সামনে তিন যুবকের 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি ঘিরে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। নির্বাচনী প্রচারে 'জয় শ্রী রাম' বিতর্ক হাতিয়ার করে মমতাকে বিঁধেছিলেন মোদী। সদ্য মমতার নৈহাটি যাওয়ার সময় দুই জায়গায় ওঠে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি। গাড়ি থামিয়ে প্রতিবাদ করতেও দেখা যায় মমতাকে। নৈহাটির সভায় মমতা বলেন, 'জয় শ্রী রাম' রাজনৈতিক স্লোগান। তৃণমূল বলবে, জয় বাংলা, জয় হিন্দ'। ইতিমধ্যে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- 'গায়ে হাত পড়লে ব্যারাকপুর নন্দীগ্রাম হয়ে যেতে পারে!' থানায় দাঁড়িয়ে হুঙ্কার অর্জুনের