নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্নীতির অস্ত্রেই তৃণমূলকে মাত দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। ২০২১ সালের আগে তাঁদের হাতিয়ার, 'কাটমানি'। তেমন সিদ্ধান্তই হল দলের চিন্তন বৈঠকে। কোন পথে আক্রমণ, তার রূপরেখা তৈরি হবে রবিবার। একইসঙ্গে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে মোদী সরকারের কৃতিত্ব ছড়িয়ে দিতে হবে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুর্গাপুরে শুরু হয়েছে বিজেপির চিন্তন বৈঠক। বৈঠকে যোগ দিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের ৪১জন নেতা। ওই বৈঠকে ২০২১ সালে বিজেপির রণকৌশল নিয়ে আলোচনায় বসেছে রাজ্য বিজেপি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন,'দুর্নীতির প্রতিবাদে মাঠে নামব। রণনীতি স্থির হবে আগামিকাল।'           



দলের সভায় কাটমানি ফেরত দেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাই হয়েছে ব্যুমেরাং। জায়গায় জায়গায় তৃণমূল নেতাদের ঘিরে ধরে কাটমানি ফেরত চেয়েছেন সাধারণ মানুষ। পুরোটাই বিজেপির ইন্ধনে হয়েছে বলে মত শাসক দলের। ২০২১ সালের রণনীতির ক্ষেত্রেও সেই কাটমানিকেই তাই অগ্রাধিকার দিচ্ছে রাজ্য বিজেপি। তবে কীভাবে কাটমানি হাতিয়ার ব্যবহার করা হবে, তার রূপরেখা তৈরি হবে রবিবার। শনিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুর্নীতির বিরোধিতায় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্তের উপকারিতা তুলে ধরতে হবে মানুষের কাছে। বুথে বুথে সক্রিয় বাহিনী গড়ে আন্দোলনের মাধ্যমে ব্যতিব্যস্ত করতে হবে তৃণমূলকে। 


তবে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি বিজেপি। চিন্তন বৈঠকে আমন্ত্রণ নিয়ে নব্য বনাম আদি বিজেপির লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে দলের অন্দরে। আদি-নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফাই, '৪২টি কেন্দ্রে ৪২জন প্রার্থী ছিল। দল যাঁদের প্রয়োজন মনে করেছে, তাঁদের ডাকা হয়েছে। দরকারে সকলের মতামতই নেওয়া হবে।'


আরও পড়ুন- পাকিস্তানের অভিযোগের চিঠি নিয়ে আলোচনাই করল না রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ