নিজস্ব প্রতিবেদন: ইসলামপুরেকাণ্ডে তদন্তের নামে নিরপরাধদের গ্রেফতার করছে পুলিস। এই অভিযোগে পুলিসকে পালটা হুমকি দিলেন উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী। এদিন দাড়িভিটে দাঁড়িয়ে পুলিসকে পুলিসকে সম্পূর্ণ অসহযোগিতার ডাক দেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

থমথমে দাড়িভিটে ঢোকার রাস্তায় রবিবারও ছিল পুলিসি পাহারা। তার মধ্যেই গ্রামে ঢোকেন শঙ্করবাবুসহ বিজেপি নেতারা। সেখানে পুলিসকে কার্যত হুমকি দনে তিনি। গ্রামবাসীদের বলেন, গ্রামে যেন পুলিস না ঢুকতে পারে। ঢুকলে যেন বেরোতে না পারে। গ্রামে পুলিস ঢুকলেই গাছে বেঁধে পেটান। তদন্তের নামে নিরপরাধ গ্রামবাসীদের গ্রেফতার করছে পুলিস। পুলিস যে ভাষা বোঝে তাদের সেই ভাষায় জবাব দিতে হবে।' 


বিজেপি মিরজাফর, বাংলা বনধের বিরোধিতা করে বললেন ফিরহাদ হাকিম


পুলিস কর্মীদের অসহযোগের ডাক দিয়ে শঙ্করবাবু বলেন, 'কুকুরকে জল দেবেন, কিন্তু পুলিসকে দেবেন না। পুলিসের ছেলে মেয়েরা যদি পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়, মরা কুকুরকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন  কিন্তু পুলিসের ছেলে মেয়েকে নিয়ে যাবেন না। ছাগলকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন পুলিসকে নিয়ে যাবেন না।'


এদিন সরাসরি উত্তর দিনাজপুরের পুলিস সুপারকে কাঠগড়ায় তোলেন শঙ্করবাবু। বলেন, আপনি এখানে এসে আগুন লাগিয়েছেন। আগুন যদি না নেভে আমি আপনাকে এই জেলায় থাকতে দেব না। 


ইসলামপুরে নিহত ২ ছাত্রের বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভের মুখে মন্ত্রী-বিধায়ক


আগুন ঝরা এই বক্তব্য রাখার পর সাফাইয়েও সুর নরম হয়নি শঙ্কর চক্রবর্তীর। তিনি অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার দাড়িভিটকাণ্ডের পর দিন উত্তর দিনাজপুর বনধ চলাকালে সংবাদমাধ্যমের সামনে পুলিস আমাকে খুনের হুমকি দিয়েছে। আত্মরক্ষার জন্য উত্তর দিনাজপুর পুলিসকেও তৈরি থাকতে হবে। নিরীহ ২টো ছেলের প্রাণ বাংলা ভাষার জন্য কেড়ে নিল। এখনো পর্যন্ত একজনও গ্রেফতার হল না। পুলিস সুপার, আইজি, ডিআইজি সব ঠান্ডা ঘরে বসে আছে। আর গ্রামকে গ্রাম জ্বলছে, মানুষ ক্ষোভে জ্বলছে।'


পুলিসের বিরুদ্ধে নিরীহ গ্রামবাসীদের গ্রেফতারির অভিযোগ তুলে শঙ্করবাবু বলেন, 'পুলিস যে ভাষা বুঝবে গ্রামবাসী সেই ভাষায় জবাব দেবে। বিজেপি নেতৃত্ব দেবে।'