অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে রাজ্য বিজেপি। আইনি জটে অনিশ্চয়তার মুখে বিজেপির রথযাত্রা। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সভা হবেই। আগামিকাল রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। 


দিলীপ ঘোষের কথায়,''দীর্ঘদিন ধরে রথযাত্রার প্রস্তুতি নিয়েছি। আদালতের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। আগামিকাল অমিত শাহের সভা হবেই। সভা নিয়ে স্থানীয় থানার অনুমতি নিয়েছি। মদনমোহন মন্দিরে পুজোও দেব। যে যে সভা ঠিক হয়েছে, সেগুলি করা হবে। রথযাত্রা হবে না কিন্তু সভা হবেই''। 


আইন শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে কোচবিহারে বিজেপির রথযাত্রায় অনুমতি দেয়নি আদালত। এর পাশাপাশি ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের কোথাও রথযাত্রা করতে পারবে না বিজেপি। আদালতের নির্দেশ, যে যে জেলায় বিজেপি রথযাত্রা বেরোবে,  প্রত্যেক জেলার পুলিস সুপারকে আলাদাভাবে রিপোর্ট দিতে হবে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই রিপোর্ট দেখেই বিজেপির রথযাত্রার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।


বিচারপতি প্রশ্ন করেন, মিছিলে কোন অশান্তি হলে, তার দায় কার ওপর বর্তাবে?  যদিও এর উত্তর বৃহস্পতিবার গোটা সওয়াল জবাব পর্বে অধরাও থেকে যায়। শেষে গোয়েন্দাদের দেওয়া বন্ধ খামের রিপোর্টকেই মান্যতা দেয় আদালত। বিচারপতি  পর্যবেক্ষণ,  একদিনের মাথায় এই মিছিলের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। পুলিসের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি সামলানো কষ্টকর হবে। রথযাত্রা হলে যে কোনও ধরনের অশান্তি ঘটতে পারে, প্রাণহানির আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। সব দিক বিবেচনা  করে বিজেপির রথযাত্রায় অনুমতি দেয়নি আদালত। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে বিজেপি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চেই মামলা। বিজেপির আর্জি শুনতে রাজি প্রধান বিচারপতি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি।  


বিজেপির রথযাত্রায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে, এমনটা আশঙ্কা  প্রকাশ করে রাজ্যের পুলিস প্রধান ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দেন কোচবিহারের জেলাশাসক ও পুলিস সুপার। ঠিক এই বিষয়টি অর্থাত্ এমনই আশঙ্কার প্রেক্ষিতেই আদালতে সওয়াল করেন এজি।


এদিন রথযাত্রা মামলার শুনানির সময় এজি বলেন, কোচবিহারে রথযাত্রায় অনুমতি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। কারণ, বিজেপির রথযাত্রায় কোচবিহার পুলিস সুপারের আপত্তি রয়েছে। সভা করতে গেলে যে অনুমতি লাগে, সেবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ তুলে ধরেছেন এজি। আদালতকে বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেন তিনি।


কোচবিহার কেন সংবেদনশীল, সে বিষয়ে রিপোর্টে উল্লেখ করেন তিনি। এজি এদিন পূর্ব উদাহরণ দিয়ে আদালতে জানান, এর আগে কোচবিহারে যখন এধরনের মিছিল হয়েছে, তখন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। এবারও হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।  কিছুদিন আগেও একটি ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কোচবিহার। সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া এর আগে বিজেপির বাইক মিছিল, কিংবা অন্যান্য মিছিল ঘিরে কীভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, তাও এদিন আদালতে উল্লেখ করা হয়।


আরও পড়ুন- কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধুর সভায় 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' স্লোগান কীভাবে দেখাল পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম