নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য রাজনীতিতে কালো পতাকা প্রদর্শন এক নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবারও ঠিক তেমনটাই ঘটল। বারুইপুরে বিজেপির যোগদান মেলায় যাওয়ার পথে কালো পতাকা দেখানো হল শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বারুইপুরের পদ্মপুকুর এলাকায় কালো পতাকা দেখানো হয় রাজ্যের প্রাক্তন দুই মন্ত্রীকে।বারুইপুরে সভায় পৌঁছানো নিয়ে যদিও কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি তাঁদের। কিন্তু সভামঞ্চে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই নেতার গলায় তীব্র ক্ষোভ। খানিকটা হুঁশিয়ারিও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, , ‘তৃণমূল এখন হতাশ। তাই তারা আমাদের কালো পতাকা দেখাচ্ছে। চরম হতাশাগ্রস্ত তৃণমূল শেষ হয়ে গিয়েছে। দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তাই তারা কালো পতাকা দেখাচ্ছে।’বারুইপুরের সভাটি ডাকাই হয়েছিল বিজেপি-তে যোগদানের জন্য, ‘যোগদান মেলা’ । মঙ্গলবারের সভায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার।তাঁর সঙ্গে ফলতা, বারুইপুর, মগরাহাট পূর্ব, বাসন্তী, সোনারপুর, কুলপির আরও বেশ কয়েকজন নেতা যোগদান করেন। যোগদান পর্বের সভায় রাজনৈতিক আক্রমণই প্রধান হয়ে ওঠে। রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় তীব্র আক্রমণ শানান বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই তরুণ তুর্কি। রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে বেকারদের জন্য স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে যৌথ সমন্বয়ে কাজ করতে হবে। তৃণমূল অনেক ভয় দেখাবে। আপানার কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না।’’ এছাড়াও রাজীব ডুমুরজলার মতোই স্লোগান তোলেন, ‘‘চলো পাল্টাই!’’ তারপর জনতার সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলেন, ‘‘চুপচাপ, পদ্মে ছাপ!’’


আরও পড়ুন: 'কয়লা-গরু পাচারের টাকা ব্যাংককে যায়', অভিষেকের স্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর


মঙ্গলবারই বারুইপুরের সভার পর শুভেন্দু ও রাজীব দিল্লি রওনা দেন। অমিত শাহের বাড়িতে বঙ্গ বিজেপি-র নেতাদের নিয়ে বৈঠকে নির্বাতনী কৌশল ঠিক করার কথা। সেই বৈঠকে মুকুল রায়ের মত পোড় খাওয়া নেতার পাশাপাশি সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই নেতা ঠিক কী স্ট্র্যাটেজির কথা বলেন, তাই নিয়ে নজর রাজনৈতিক মহলের। প্রসঙ্গত, বারবার পিকে-র নাম না করে, তাঁর স্ট্র্যাটেজির নিন্দা করে চলেছেন প্রাক্তন তৃণমূলীরা। তাই আগামি বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের জাদুকাঠিই বিজেপি-র জেতার ব্যাটন হয় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।


বিমানবন্দরে দিল্লি যাওয়ার আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন রথযাত্রা হবেই। তিনি আরও বলেন, ‘’তড়িঘড়ি দিল্লিতে কোর কমিটির বৈঠক আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি প্রস্তুত ছিলাম না জরুরী ভিত্তিতে যাচ্ছি। নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হবে।‘