মালদহের চাঁচোলে নৌকাডুবি, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা; ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রাজ্য সরকারের
বর্ষায় ফুঁসছে মহানন্দা। ছোট নৌকায় বহন ক্ষমতার থেকে বেশি যাত্রী ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মালদহের চাঁচোলে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ। বৃহস্পতিবার জগন্নাথধাম ঘাট থেকে উত্তর দিনাজপুরে মুকুন্দপুরে যাচ্ছিল নৌকাটি। বহন ক্ষমতা ৩০ জনের হলেও নৌকাটিতে সওয়ার ছিলেন ৭০ জন যাত্রী। আর অতিরিক্ত যাত্রী সওয়ার হতেই ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়েন নৌকার যাত্রীরা।
গতকাল জগন্নাথধাম ঘাটে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর যাত্রীরা, ইটাহারের বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে যাচ্ছিলেন। জগন্নাথধাম ঘাটে উপস্থিত ছিলেন চাঁচোল থানার আইসি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আইসি বারবার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নৌ চলাচলে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু, তাঁকে অগ্রাহ্য করেই যাত্রী নিয়ে এগিয়ে যায় নৌকাটি। মহিষাদলে নৌকাডুবির ঘটনা থেকেও শিক্ষা নেননি মানুষ।
বর্ষায় ফুঁসছে মহানন্দা। ছোট নৌকায় বহন ক্ষমতার থেকে বেশি যাত্রী ছিল। তাঁদের কারোরই লাইফ জ্যাকেট ছিল না। ফলে বিপদকে যেন নিমন্ত্রণ করে ডেকে আনা হয়। বাস্তবে হলও তাই। মাঝনদীতে হঠাত্ই ডুবে যায় নৌকা। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য। যান তৃণমূল নেত্রী মৌসম বেনজির নুর। নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে সন্ধেয় ডুবুরি নামানো হয়েছিল। রাতে তল্লাসি বন্ধ থাকে। তা নিয়ে যাত্রীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়।
আরও পড়ুন - দেবাঞ্জনকে নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেফতার ৯ এবিভিপি সমর্থক
মালদার নৌকাডুবি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন , যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৯ জনের চাঁচোল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরন দেওয়া হবে। পরিবহন দপ্তর থেকে ঐ দেশী নৌকার মালিক ও চাঁচোল পঞ্চায়েত সমিতি ১ এর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে, বে আইনি ভাবে লিজ দেওয়ার জন্য।