নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু, কিন্তু সত্‍কার করবে কে! ৬ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে রইল গৃহবধূর দেহ। পরিবারের অনুরোধেও স্থানীয় বাসিন্দারা সাহায্য করতে রাজি হননি বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের উদ্ধার করা হল দেহ। ঘটনাস্থল, হুগলির গোঘাট। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোঘাটের শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা সুজলা দাস। দিন কয়েক আগে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে তাঁর। পরিবার সূত্রের খবর, জ্বর ছাড়া তেমন কোনও উপসর্গ ছিল না। তাই বাড়িতেই চিকিত্‍সা চলছিল ওই গৃহবধূর। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল কই! বুধবার সন্ধ্যায় মারা যান সুজলা।  তারপর? বাড়ির লোকেদের জানিয়েছেন, প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি তাঁরা। তবে, রোগীর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ চেষ্টা করছিলেন। এমনকী, খবর দেওয়া হয়েছিল প্রতিবেশীদেরও। কিন্তু কেউ-ই সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। এভাবে কেটে যায় প্রায় ৬ ঘণ্টা। 


আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন না পেয়ে হাসপাতালে তুলকালাম আইনজীবীদের, চাকরি ছাড়ার হুমকি ডেপুটি CMOH-এর


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন গোঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সৈয়দ মকবুল হোসেন। তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে আরামবাগের এসডিপিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শেষপর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন পিটিই কিট পড়ে ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করেন। অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহটি নিয়ে যাওয়া হয় কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে।