নিজস্ব প্রতিবেদন:  লড়াই শেষ হয়ে গেল তাঁর। মনের ক্ষত তো বটেই, শরীরের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হল বোলপুরের সুপুরের নির্যাতিতার। মঙ্গলবার সকালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশার চাদরে মালবাজার-ডুয়ার্স


বার বার তাঁর নগ্ন ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণ করা হয়েছিল তাঁকে। দিনের পর দিন এভাবে নির্যাতিত হতে হতে ভেঙে যায় সহ্যের বাঁধ। যে নগ্ন দেহ দেখিয়ে বার বার অত্যাচার করা হচ্ছিল তাঁকে, সেই শরীরেই আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে চেয়েছিলেন নিজেকে। কিন্তু লড়াকু মনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সর্বোতভাবে চেষ্টা করেছিল পরিবার এবং চিকিতসকরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।


ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। অভিযোগ, যুবতীর স্নান করার ছবি মোবাইলে তুলে রাখে পেশায় রাজমিস্ত্রি হাফিজুল। সেই ছবি দেখিয়ে হাফিজুল ওই যুবতীকে ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণ করে ও তাঁর নগ্ন শরীরের ছবিও মোবাইলে তুলে রাখে বলে অভিযোগ। এইভাবে দিনের পর দিন হাফিজুল ওই যুবতীকে ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ যুবতীর পরিবারের।


আরও পড়ুন: ঋতব্রতর পর এবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসে অভিযুক্ত মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা


সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ১১ তারিখ গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন নির্যাতিতা। প্রথমে বোলপুর, তারপর বর্ধমান হয়ে তাঁকে আনা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতেই হাফিজুলকে গ্রেফতার করে পুলিস। আপাতত হাফিজুল পুলিস হেফাজতে। গত দুদিনে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। শেষমেশ মঙ্গলবার লড়াই শেষ হল। চোখে জল, মনের ঘা দগদগে, তবুও অপরাধীর শাস্তির দাবিতে চোয়াল শক্ত করে লড়াই চালিয়ে যাবে তাঁরা, এদিন হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়েও সেকথা বলেছে নির্যাতিতার পরিবার।