Midnapur News: সত্দাদার দিকে অভিযোগের তির; মাঠের গর্ত থেকে উদ্ধার ৮ বছরের বালকের দেহ, তুলকালাম এলাকা
Midnapur News: খুনির শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। এরই মধ্যে খুনে জড়িত সন্দেহে গ্রামবাসীরা আটক করে মৃত শিশুর সৎ দাদাকে। উত্তেজিত জনতার রোষ থেকে বাঁচাতে থেকে একটি ক্লাব ঘরের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় সন্দেহভজন যুবককে। সেই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যেতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে
চম্পক দত্ত: শিশু খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেনাডিহি গ্রাম। মৃতদেহ তুলতে পুলিসকে বাধা। সন্দেহভাজন ব্যাক্তিদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ঘটাল উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে রয়েছে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। নামানো হয়েছে RAF। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না পুলিস। উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা।
আরও পড়ুন-কিশোরীকে গণধর্ষণ, যৌনাঙ্গে 'রড', সারা শরীরে কামড়! অভিযুক্তদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল সরকার
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর নদীর ধার থেকে উদ্ধার হল আট বছরের এক শিশুর দেহ। খুনের অভিযোগ পরিবার ও গ্রামবাসীদের। দফায় দফায় উত্তেজনা মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেনাডিহি গ্রামে। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেনাডিহি গ্রামের ৮ বছরের এক শিশু। পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায়। এরপর দু'দিন তন্ন তন্ন করে খোঁজার পরেও মেলেনি শিশুর হদিস। অবশেষে শনিবার দুপুরে বেনাডিহি এলাকায় কাঁসাই নদী সংলগ্ন একটি মাঠে গর্তের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ শিশুর দেহ। দেহে একাধিক ক্ষত চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপর কয়েক হাজার মানুষের ভিড় জমে যায় কংসাবতী নদীর ধারে। খবর দেওয়া হয় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয়। পুলিস কুকুর এনে তল্লাশি চালাতে হবে এই দাবিতেই গ্রামবাসীরা দেহ তুলতে বাধা দেয়। পরে পুলিস গ্রামবাসীদের দাবি মেনে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
খুনির শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। এরই মধ্যে খুনে জড়িত সন্দেহে গ্রামবাসীরা আটক করে মৃত শিশুর সৎ দাদাকে। উত্তেজিত জনতার রোষ থেকে বাঁচাতে থেকে একটি ক্লাব ঘরের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় সন্দেহভজন যুবককে। সেই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যেতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। অবশেষে প্রায় ঘন্টা দুয়েকের চেষ্টায় উদ্ধার করা হয় অভিযুক্তকে।
পুলিস মৃতদেহ এবং অভিযুক্তকে এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় সন্দেহভাজন একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর সঙ্গে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা। পরে আবার বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়। গ্রামবাসীরা পুলিসকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয়। পুলিসের সামনে কার্যত চলে বাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগ করার ঘটনা। পুলিস সন্দেহভাজন বকুল গুইন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে একটি বন্দুক(সম্ভবত এয়ার গান) উদ্ধার করে।
এখনও পর্যন্ত গ্রাম জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস।