অরূপ লাহা: বর্ধমান রেল স্টেশনের মূল ফটকের সামনেই রয়েছে একটি লাগেজ স্ক্যানার। সেই স্ক্যানারে আটকে গেল একটি শিশু। চার দিকে হুলস্থুল। বহুক্ষণের চেষ্টায় মেশিন খুলে শিশুটিকে বের করল আরপিএফ। কোনও বড় বিপদও হতে পারত। আরপিএফের নজরদারির এড়িয়ে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন যাত্রীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-পুলিস মমতার লেঠেল; রাজ্যে ৩৫৫ ধারার পক্ষে সওয়াল শুভেন্দুর, সুকান্ত বললেন অন্য কথা


শনিবার বিকেলের ওই ঘটনা বর্ধমান স্টেশন জুড়ে প্রবল হইচই পড়ে যায়। প্রায় আধ ঘণ্টা স্ক্যানারে আটকে ছিল বাচ্চটি। কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? স্টেশনে আরপিএফের সেকেন্ড ইন্সপেক্টর মনোজ কুমার জানান, লাগেজ স্ক্যানার ঘুরছিল। পাশেই ঘোরাঘুরি করছিল একটি বাচ্চা। তার হাতে থাকা কোনও একটি জিনিস স্ক্যানারে পড়ে যায়। বাচ্চাটি সেই জিনিসটি কুড়তে যেতেই  জিত্ মুর্মু নামে ওই বাচ্চাটির হাত স্ক্যানারে আটকে য়ায়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় তার হাত স্ক্যানার থেকে ছাড়ানো হয়।  বিকেল ৪ টে ৩৫ মিনিট থেকে ৫ টা ৫ মিনিট অর্থাৎ আধ ঘন্টা বাচ্চাটি ল্যাগেজ স্ক্যানারে আটকে ছিল। বাচ্চাটির বাড়ি মহেশপুরের উড়াডাঙ্গায়।


এমন একটি ঘটনায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। এক যাত্রীর অভিযোগ, আরপিএফ ছিল। তার মধ্যেই এরকম একটি ঘটনা ঘটে গেল কীভাবে? নিশ্চয় নজরদারির অভাব। এর থেকে বড় দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারত। চেখের সামনে একটি বাচ্চার হাত স্ক্যানারে আটকে গেল আর তা চোখ পড়ল না আরপিএফের? চূড়ান্ত উদাসীন আরপিএফ। 


ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বাচ্চাটি কীভাবে স্ক্যানারে আটকে গেল তা দেখিনি। কিন্তু সে অনেকক্ষণ স্ক্যানারে আটকে ছিল। বহু চেষ্টার পর মেশিন খুলে তাকে উদ্ধার করা হয়। এক্ষেত্রে আরপিএফের কর্তব্যে অবহেলা স্পষ্ট।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)