নিজস্ব প্রতিবেদন : "একুশের পর দিলীপ ঘোষকে আর রাজ্যে দেখা যাবে না। তাঁকে হয়তো আবার কোনও সীমান্ত এলাকায় দেখা যাবে।" কাঁথির ধবাবেড়িয়াতে তৃণমূলের সভা থেকে এদিন দিলীপ ঘোষকে বেনজির আক্রমণ করলেন ব্রাত্য বসু। এমনকি তিনি এও দাবি করেন যে, দিলীপ ঘোষকেও মেদিনীপুরে এসে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরতে হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন ধবাবেড়িয়ার সভায় বিজেপি থেকে প্রায় সাড়ে ৬০০ কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এপ্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, "আমাদের অনেক নেতা, কর্মী বিজেপিতে যেতে পারেন। কিন্ত আসল কর্মীরা ওখান থেকে চলে আসছে। তাই মাথা চলে গেলেও, ধড় থেকে যাবে।" যদিও এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।


তাঁর কথায়, "শুভেন্দু অধিকারী এখনও দলেই আছেন।" পাশাপাশি তিনি এও বলেন, "অনুগামী এক জনেরই  হতে হবে। তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।।" এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা সবটাই গেরুয়া শিবিরের চাল বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। রাজ্য় বিজেপি নেতৃত্বের উপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও ভরসা নেই বলেই, তাঁদেরকে তৃণমূল থেকে নেতা নিতে হচ্ছে বলেও কটাক্ষ করতে শোনা যায় তাঁকে। 


উল্লেখ্য, মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর এদিন মহিষাদলে প্রথম সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তমলুক জনকল্যাণ সমিতির ব্যানারে অরাজনৈতিক সভা করেন শুভেন্দু। ওদিকে শুভেন্দুর সভার দিনই পূর্ব মেদিনীপুরে জোড়া সভা ছিল তৃণমূলেরও। একদিকে হলদিয়ায় মিছিল ও সভা করেন সুজিত বসু। অন্যদিকে কাঁথিতে সভা করেন ব্রাত্য বসু ও নির্বেদ রায়। যে সভায় প্রায় ৫ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


(এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত এই দাবির প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।)


আরও পড়ুন, উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য যদি কেউ মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন, আপনারা মানবেন? : অভিষেক