ওয়েব ডেস্ক: বারো ঘণ্টা। লড়াই, মৃত্যুর সঙ্গে। চোখে চোখ রেখে বলা, হাল ছাড়ব না! দম ফুরিয়েছে। সাহস নয়। কখনও, কোনও মুহূর্তে শক্তিও হয়ত শেষ হয়ে এসেছে। কিন্তু মনের জোর নয়। ফল? সাহসিকতার নজির গড়েছেন। লড়াই জলে যায়নি তপতী চৌধুরীর।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সত্যিই হয়ত কেউ চিনতও না। কিন্তু সাহস, অদম্য মনের জোরেই নিজেকে চিনিয়ে দিলেন তপতী চৌধুরী। ছোট্ট দুর্ঘটনা ঠেলে দেয় মৃত্যুমুখে। ভরা প্লাবনে, দামোদরে পড়ে যান! তলিয়েই যাচ্ছিলেন। কিন্তু সারভাইভাল ইন্সটিঙ্কট তা হতে দেয়নি। বাঁচতে হবে। লড়তে হবে। বুঝে গিয়েছিলেন। 


তপতী চৌধুরী। বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা এই বৃদ্ধা আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। সদরঘাটে নামার পর দামোদরের ভয়ঙ্কর রূপ দেখতে এগিয়ে যান। কিন্তু হঠাত্‍ই পড়ে যান পা পিছলে


বর্ধমানের সদরঘাট থেকে হুগলির পুরশুড়ার ভাঙামোড়া। সাঁতরে এসেছেন দীর্ঘ পথ। সকালে কয়েকজন মত্‍স্যজীবীর নজরে আসায়, তাঁরাই উদ্ধার করেন বৃদ্ধাকে।  ফিরেছেন বাড়িতে। সবার মাঝে। সম্পূর্ণ সুস্থ।  বর্ধমানেরই সায়নী দাস মাত্র ক'দিন আগে ইংলিশ চ্যানেল পার করে নজির গড়েছেন। আর তপতী চৌধুরী! নামের পাশে হয়ত কোনও রেকর্ড লেখা থাকবে না। কিন্তু শিখিয়ে গেলেন, জীবনে লড়াইয়ের সহজপাঠ।