নিজস্ব প্রতিবেদন : চোখের সামনে ইভটিজারদের হাতে বোনকে হেনস্থা হতে দেখে স্থির থাকতে পারেনি দাদা। সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদ করে দাদা। তার বদলায় বাড়িতে চড়াও হয়ে দাদা সহ পরিবারের অন্যদের মারধরের অভিযোগ উঠল ৪ যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা বাড়ি ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির কুড়িগাঁও গ্রামে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে করণদিঘি থানার পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


করণদিঘির কুড়িগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবতী। পরিবারের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে ওই যুবতীকে পাশের গ্রামের ৩-৪ জন যুবক প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই যুবতী যখন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর বৌদির সঙ্গে গল্প করছিল, সেই সময় ফের চড়াও হয় ইভটিজারদের দল। উত্যক্ত করা শুরু করে ওই যুবতীকে। ওই তরুণীকে উদ্দেশ করে অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে শুরু করে। যার প্রতিবাদ করেন ওই যুবতীর দাদা।


শুরু হয় বচসা। ওই ৪ যুবকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন যুবতীর দাদা। বাগবিতণ্ডার মধ্যেই গ্রামের মানুষ জড় হয়ে যায়। অভিযুক্তদের তাড়িয়ে দেয় ওই এলাকা থেকে। অভিযোগ, এর কিছু পরই নিজেদের গ্রামের লোকদের নিয়ে ফের চড়াও হয় ইভটিজারদের দল। মারধর করতে শুরু করে ওই যুবতীর দাদাকে। দাদাকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হয় পরিবারের অন্য সদস্যরাও।


আরও পড়ুন, প্রেমিকের বাড়ির দরজায় ধরনা নাছোড় প্রেমিকার, পরিণতিতে বিয়েতে রাজি পাত্র


এমনকি ভাঙচুর করা হয় বাড়িও। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মারধরের চোটে গুরুতর জখম হয়েছেন ওই তরুণীর দাদা, বৌদি ও মামা সহ আরও ৩-৪ জন। আহতদের প্রথমে করণদিঘি গ্রামীণ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই যুবতী, তাঁর দাদা, বৌদি ও মামার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।


ওই যুবতীর পরিবারের পক্ষ থেকে করণদিঘি থানায় ৪ যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিযুক্ত ৪ যুবকের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।