Flash Flood in Mal River: মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া `অস্থায়ী` চাকরি ফেরালেন মালবাজারে নিহতের দাদা!
দশমী সন্ধেয় আচমকাই হড়পা বান আসে মাল নদীতে। বিসর্জন দেখতে গিয়ে প্রাণ হারান শিশু-সহ ৮ জন। মৃতদের পরিবারের হাতে চাকরি নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অরূপ বসাক: মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হোমগার্ড পদের চাকরি ফিরিয়ে দিলেন মালবাজারে হড়পা বানে নিহতের দাদা। কেন? জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে যোগ্যতা অনুযায়ী স্থায়ী চাকরির আর্জি জানালেন তিনি।
মালবাজারে বিপর্যয়। দশমী সন্ধেয় আচমকাই হড়পা বান আসে মাল নদীতে। প্রবল স্রোতে ভেসে যান বহু মানুষ। দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন দেখতে গিয়ে প্রাণ হারান শিশু-সহ ৮ জন। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর ৪ দিনের উত্তরবঙ্গে সফরে যান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
১৭ অক্টোবর মালবাজারে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনই হড়পা বানে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁদের কাছে জানতে চান, কীভাবে এই বিপর্যয় ঘটল? প্রশাসনের তরফে কোনও গাফিলতি ছিল না কিনা। পরের দিন প্রশাসনিক বৈঠক হয় মালবাজারেই। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরি নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। সেই চাকরি ফিরিয়ে দিলেন হড়পা বানে নিহত সুস্মিতা পোদ্দারের দাদা সুদীপ পোদ্দার।
আরও পড়ুন: ইসিএল কর্তার গোপন জবানবন্দিতেই লুকিয়ে কয়লাপাচারের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র?
সুদীপ পোদ্দারের দাবি, স্রেফ সাক্ষাৎ নয়, মালবাজারে এসে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেও স্থায়ী সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু, পুলিস সুপারের তরফে যে চিঠিতে বলা হয়েছে, চাকরিটি 'ভলেন্টিয়ার ইন নেচার' ও অস্থায়ী। এমনকী, ওই চিঠিতে নাকি 'অ্যাজ অ্যান্ড হোয়েন নিডেড' কথাটির উল্লেখ রয়েছে! অর্থাৎ যখন প্রয়োজন হবে, তখন কাজ দেওয়া হবে। সেকারণেই ওই চাকরিতে যোগ দিতে রাজি নন সুদীপ। মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে তাঁর আর্জি, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী মাল শহরেই যদি স্থায়ী সরকারি চাকরি পান, তাহলে সেই কাজে যোগ দেবেন।
এদিকে দশমীতে হড়পা বানের পর মালবাজারে যায় ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ৭ বিধায়ক, একজন সাংসদ ও জেলা সভাপতি। মৃতের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। আহতদের দেখতে যান হাসপাতালে। ফলাকাটার বিজেপি বিধায়ক নরেশ বর্মন বলেন, 'ম্যান মেড ডিজাস্টার, ম্যান মেড ম্যাসাকার। এর সঙ্গে প্রকৃতির কোনও সম্পর্ক নেই। সেদিন প্রকৃতি নিজের খেয়ালে চললে, এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না'।