ইসিএল কর্তার গোপন জবানবন্দিতেই লুকিয়ে কয়লাপাচারের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র?
য়লা দুর্নীতিতে সিবিআই-এর জালে সাতজন ইসিএল কর্তা। সংস্থার বর্তমান এবং প্রাক্তন-সহ মোট ৪ জেনারেল ম্য়ানেজার গ্রেফতার হয়েছেন।
বিক্রম দাস: কয়লা কাণ্ডে এবার প্রাক্তন ইসিএল কর্তার গোপন জবানবন্দির নথি হাতে পেতে মরিয়া সিবিআই। রাজা পাল নামে প্রাক্তন ইসিএল কর্তার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল অন্য একটি মামলায়। সেই গোপন জবানবন্দি নিয়েছিল সিআইডি। সেই নথি এবার চাইছে সিবিআই। সেই নথি হাতে পেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ওই জবানবন্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এমনটাই মনে করছে সিবিআই।
গোপান জবানবন্দির নথি হাতে চেয়ে আসানসোল আদালতে বিশেষ আবেদন করেছে সিবিআই। সেই আবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিসের বারবনি থানায় একটি মামলা করা হয়েছিল। যার তদন্ত করছিল সিআইডি। সেই মামলায় রাজা পাল নামে প্রাক্তন ইসিএল কর্তার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল। এখন সিআইডি কিছুদিন আগেই সেই মামলায় ক্লোজার রিপোর্ট দিয়েছে। কিন্তু ১৬৪-এ নেওয়া রাজা পালের গোপন জবানবন্দি এবার কয়লা কাণ্ডের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কয়লা দুর্নীতিতে সিবিআই-এর জালে সাতজন ইসিএল কর্তা। সংস্থার বর্তমান এবং প্রাক্তন-সহ মোট ৪ জেনারেল ম্য়ানেজার গ্রেফতার হয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার এসসি মিত্রও। ধৃতদের উত্তরে অসঙ্গতিও মেলে। সংস্থার বর্তমান ও প্রাক্তন-সহ ৪ জেনারেল ম্য়ানেজার এবং আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে অ্য়ান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ। বর্তমান জিএম এসসি মিত্র ছাড়াও, ধৃতরা হলেন প্রাক্তন জেনারেল ম্য়ানেজার অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, তন্ময় দাস। এছাড়া গ্রেফতার হয়েছেন ইসিএল-এর ম্যানেজার মুকেশ কুমার।
ওদিকে কয়লাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে 'পলাতক' ঘোষণা কর দিল্লির রাউজ অ্য়াভিনিউ কোর্ট। ইডির আবেদনের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। কিন্তু তার নাগাল পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। ইডির দাবি, বারবার বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে সমন পাঠানো হলেও তিনি হাজিরা দেননি। তাঁর বাড়িতে গিয়েও নোটিস দিয়ে এসেছেন ইডির অফিসাররা। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এমনকি খোঁজ দিতে পারলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।