পার্থ চৌধুরী: ভোট আসে, ভোট যায়। রাস্তার হাল ফেরে না। বিরক্ত মানুষজন তাই এবার ভোট না দেওয়ার কথা-ই ভাবছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের উদয়পল্লী থেকে বেলকাশ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা। এই রাস্তা বর্ধমান শহরের সাথে সংযোগ ঘটাচ্ছে দশ-বারোটি গ্রামের। মিলিকপাড়া, বহরপুর, কুমারপুর, রঘুনাথপুর, বেলকাশ সহ দশ-বারোটি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। এই রাস্তায় পাশেই রয়েছে বেলকাশ পঞ্চানন পাবলিক ইনসটিটিশন নামে একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল।  অথচ স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে গ্রামের মানুষজনকে যাতায়াত করতে হচ্ছে এই ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়েই। গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে খারাপ রাস্তার কারণে অ্যাম্বুলেন্স আসতে চায় না বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের। যাতায়াতের জন্য হাতেগোনা কয়েকটি টোটো এলেও তার জন্য বেশি ভাড়া দিতে হয় বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাস্তার হাল ফেরাতে পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। সমস্ত স্তরেই আশ্বাস মিলেছে রাস্তা হওয়ার, কিন্তু আশ্বাস বাস্তবে রূপান্তরিত হয়নি। ভাঙা রাস্তায় পিচ পড়েনি। তাই বাধ্য হয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষদের। তার উপর একপশলা বৃষ্টিতেই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় এক হাঁটু করে জল দাঁড়িয়ে যায়। এতে যাতায়াত করা আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। রাস্তা দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, ভোট এলেই নেতাদের দেখা মেলে। রাস্তা তৈরির আশ্বাসও মেলে। কিন্তু ভোট মিটে যেতেই আর দেখা মেলে না নেতাদের। ভাঙা রাস্তা আরও ভাঙে, কিন্তু মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেন না কেউই। 


স্থানীয় টোটোচালক উদয় ব্যানার্জি জানান, এই রাস্তায় মানুষ নিয়ে চলাই মুশকিল। তার উপর অসুস্থ বা প্রসূতি নিয়ে যেতে গেলে সমস্যা আরও বাড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত নায়েক জানান, ভোট এলেই প্রতিশ্রুতি মেলে। দুই বিধায়কের কাছেও দরবার করা হয়েছে। নাম কা ওয়াস্তে শিলান্যাসও হয়েছিল। ক্ষোভে সাধারণ মানুষ সেই বোর্ড ভেঙে দিয়েছেন। এবারের ভোটে ভোট দেব না বলে ভাবছি আমরা। আরেক বাসিন্দা সনৎ খাঁ বলেন, পাঁচ বছর ধরে এই বেহাল অবস্থা। তিন কিলোমিটার রাস্তা চলার অযোগ্য। কারও হুঁশ নেই। যদিও উদয়পল্লী বেলকাশের রাস্তা নিয়ে বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান কাকলি তা জানিয়েছেন, রাস্তা অনুমোদন হয়ে রয়েছে। কিন্তু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, রাস্তা করেও টেকানো যায়নি। কারণ এই রাস্তার উপর দিয়ে বালির গাড়ির লোডের জন্য। তাই গার্ডওয়াল এবং ড্রেন না করে এই রাস্তা রক্ষা করা যাবে না।


আরও পড়ুন, Belda: দেড় লাখ টাকা নিয়ে কলকাতায় আসছিলেন তৃণমূল সমর্থক! রেল লাইনের পাশে উদ্ধার বস্তাবন্দি দেহ...



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)