নিজস্ব প্রতিবেদন: বাজি পুড়িয়েছেন অথচ বুড়িমার নাম শোনেননি এমন বাঙালি আছে নাকি? পেটের দায়ে শুরু করেছিলেন বাজিবিক্রি। আজ তাঁর নামেই অন্যতম সেরা বাজির ব্র্যান্ডিং। বেলুড়ের বুড়িমা নিজেই এক ইন্ডাস্ট্রি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলেছে ব্র্যান্ড বুড়িমার বাজির বাহারও। এবার তাঁদের উপহার পিঙ্ক বাজি। নারীশক্তির উদযাপনকে কুর্নিস করতেই এমন ভাবনা। বলছেন বুড়িমার কর্ণধার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দীপাবলি মানেই আতস বাজির রোশনাই। অমাবস্যার অন্ধকার চিরে আলোর ঝর্নাধারা। আর বাজি মানেই ব্র্যান্ড বুড়িমা। শুরুটা বহু বছর আগে। বুড়িমা আসল নাম অন্নপূর্ণা দাস। দেশভাগের শিকার হয়েই এসেছিলেন এপারে। বাংলাদেশ থেকে এসে ঠাঁই হয় বেলুড়ে। দুই ছেলের পেটের জ্বালা মেটাতে শুরু করেন বিড়িবাঁধা। এক কালীপুজোয় ঠিক করলেন বাজি কিনবেন। পয়সা কই? তাই ছেলেদের মুখ চেয়ে নিজেই শুরু করলেন চকলেট বোম তৈরি।



তারপর যা ঘটল, বাঙালির শিল্পোদ্যোগের সোনালি ইতিহাস। চকোলেট বোম হয়ে উঠল দেশের সেরা শব্দ বাজি। রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে সুখ্যাতি ছড়াল ভিনরাজ্যেও। রীতিমতো ভাঁজ পড়ল শিবকাশীর বাজি ব্যবসায়ীদের কপালেও। তবে এখন শব্দবাজি নিষিদ্ধ। তাই ব্র্যান্ড বুড়িমার নতুন পথ চলা। সালটা উনিশশো ছিয়ানব্বই। নিষিদ্ধ হল  নব্বই ডেসিবেলের বেশি শব্দবাজির ব্যবহার। কিন্তু, থামেনি ব্যান্ড বুড়িমার পথ চলা। সময়ের সঙ্গে এসেছে বদল। বুড়িমার উত্তরসূরীরা আর চকোলেট বোমা বানান না। তার জায়গা নিয়েছে রং-বেরংয়ের চোখ ধাঁধানো আলোর বাজি। গুনমানে কতটা বদলেছে বুড়িমার বাজি? জানালেন বুড়িমার কর্ণধার সুমিত কুমার দাস।     


প্রতিবারই তাঁরা নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। নানা কেমিক্যালের কারসাজিতে বানিয়ে ফেলেন এক্কেবারে  নতুন কিছু। এবার বুড়িমার থিম পিঙ্ক ফায়ারওয়ার্কস। নতুন এই বাজির মাধ্যমেই  নারী শক্তিকে কুর্নিস জানাচ্ছেন তাঁরা। কুড়ি বছর ধরে শুধু বাজিই বেচছেন বুড়িমার বংশধররা। সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। সমস্যা  বাড়িয়েছে চিন থেকে আসা সস্তার বাজি। হাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েও এতটুকু জমি খোয়ায়নি এই ব্র্যান্ড। 


আরও পড়ুন: জমি কার! কালনায় কালীপুজো করা নিয়ে ধুন্ধুমার ২ পুজো কমিটির


বাজি মানেই দূষণ। খড়গহস্ত পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড। সেদিকেও কড়া নজর ব্র্যান্ড বুড়িমার কর্ণধারের। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁরা বানিয়ে ফেলেছেন পরিবেশ বান্ধব আতসবাজি। পাশাপাশি বুড়িমার কর্ণধাররা জানালেন শব্দবাজি আর বানান না তাঁরা। বুড়িমার চকোলেট বোমা বলে চোরা বাজারে যা বিক্রি হয় তা নকল