প্রদ্যুত্ দাস: পুলিসি হেফাজত থেকে উধাও বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদক ও কাফ সিরাপ। এনিয়ে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। ওই মাদক পুলিসি হেফাজত থেকে কোথায় গেল তা পুলিসকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- লকেটের সঙ্গে তুমুল বচসা, সন্দেশখালিতে বিজেপি মহিলা প্রতিনিধি দলকে বাধা পুলিসের


পুলিস সূত্রে খবর, ২০২১ সালে শিলিগুড়ি পুলিস মাটিগাড়ায় ২ জনকে আটক করে। তল্লাশিতে তাদের কাছে উদ্ধার হয় ২৬৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার ও ২২ বোতল কোডেন মিক্সচার। সেই মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ২ ব্যক্তিকে। এনিয়ে এই মামলা আদালতে উঠলে দেখা যায় মাদকের হিসেবে গড়বড়। শিলিগুড়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাস্ট কোর্টের কাছে ওইসব মাদক হাজির করে পুলিস। দেখা যায় সেখানে রয়েছে মাত্র ১৯০ গ্রাম ব্রাউন সুগার ও ২ বোতল কাফ সিরাপ। এখন বাকী ৭৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার ও ২০ বোতল কাফ সিরাপ কোথায় গেল? এনিয়ে আঙুল উঠে যায় পুলিসের দিকে। পরবর্তীতে ওই মামলা যায় হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে।


শুক্রবার ওই মামলা জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে উঠসে ২ বিচারপতির বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, ওই ৭৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার ও ২০ বোতল কাফ সিরাপ কোথায় গেল তা তদন্ত করে দেখবেন এডিজি উত্তরবঙ্গ। সেই তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে ১০ দিনের মধ্যে।


ওই মামলা নিয়ে আইনজীবী বিশ্বরূপ রায় বলেন, ২০২১ সালে মাটিগাড়া থানার পুলিস ২ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে পুলিস ২৬৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার ও ২২ বোতল কোডেন মিক্সাচার কাফ সিরাপ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে শিলিগুড়ি জুডিশিয়াল ফাস্ট কোর্টের সামনে যখন ওই বাজেয়াপ্ত মাল হাজির করা হয় তখন দেখা যায় সেখানে রেয়েছে ১৯০ গ্রাম ব্রাউন সুগার ২ বোতল কোডেন মিক্সচার রয়েছে। বিষয়টি আজ সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতির নজরে আসে। তার পরেই বিচারপতি এডিজি নর্থ বেঙ্গলকে গোটা বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। ওইসব বাজেয়াপ্ত হওয়া মাল কোথায় গেল তার তদন্ত করে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)