নিজস্ব প্রতিবেদন: সংখ্যালঘু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বৃত্তি চালু করেছে সরকার। কিন্তু উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছানো আগেই কীভাবে টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে? 'স্কুলারশিপ দুর্নীতি'তে জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে জানিয়েছে, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। মামলার পরবর্তী  শুনানি ২৪ নভেম্বর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাকারীর দাবি, সরকারি বৃত্তি বা স্কলারশিপ নিয়ে দুর্নীতি চলছে উত্তর দিনাজপুরে। করণদিঘি এলাকায় একটি অসাধু চক্রের হদিশ মিলেছে। এই চক্রের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি টাকা আত্মসাৎ করছেন! ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন আসল উপভোক্তারা। কেন এমনটা হবে? কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিন মামলাটির শুনানির হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের অসাধু চক্র চলতে পারে না। স্রেফ তদন্তই নয়, আদালতে রিপোর্টও জমা দিতে হবে উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসককে। 


আরও পড়ুন: Babul Supriyo: 'ঝাল মুড়ি' থেকে Mamata-কে ‘মেয়েরা পরের ধন…’ কটাক্ষ, রাজনীতিক বাবুলের নানা বিতর্ক


কারও বয়স ৬০ তো, কারও ৭০। বাদ যাচ্ছে না অপেক্ষাকৃত কমবয়সীরাও। কখনও অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে, তো কখনও ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে গ্রাহকের অজান্তেই সংখ্যালঘু ও প্রতিবন্ধী স্কলারশিপ বা বৃত্তির টাকা তুলে নিচ্ছে জালিয়াতরা! পদ্ধতি এতটাই নিখুঁত যে, সহজে বোঝায় উপায় নেই। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস করেছিল জি ২৪ ঘণ্টা। খবরের জেরে গ্রেফতার করা হয় এই জালিয়াতি চক্রের মূল পাণ্ডাকে। ল্যাপটপ, হার্ডডিক্স, সিমকার্ড-সহ প্রচুর নথি উদ্ধার করে পুলিস। সূত্রের খবর, বাকি অভিযুক্তদের বেশিরভাগই গা-ঢাকা দিয়েছে। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।