নিজস্ব প্রতিবেদন: রোগী মৃত্যুর ৫ মাস পর ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ। পেছনে রয়েছে রোগীর পরিবারের মারাত্মক অভিযোগ। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Bardhaman: মন্তেশ্বরে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি বর্ধমান মেডিক্য়ালে


গত ২২ এপ্রিল বেলঘরিয়ার মিডল্যান্ড নার্সিং হোমে ভর্তি হন করোনা আক্রান্ত কাকলি সরকার। তিনদিন পর ২৫ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, মৃত্যুর আগে কাকলি পরিবারের লোকজনকে জানিয়েছিলেন, নার্সিং হোমে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির একটি চক্র চলে। তারও অঙ্গ বিক্রির পরিকল্পনা করেছে নার্সিংহোম। পরিবারের আরও অভিযোগ, একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই মৃত্যু হয় কাকলিদেবীর।


চিকিত্সায় গফিলতির অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয় কাকলির পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নার্সিংহোমকে কাকলির পরিবারকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় কমিশন।  


এদিকে, কাকলি সরকারের মৃত্যুর ঘটনার সিআইডি তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার। পাশাপাশি নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা শুরুরও আবেদন করা হয় আদালতে।


আরও পড়ুন-Coronavirus: ৬ মাসে সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণ, সামান্য বাড়ল মৃত্যু  


ওই আবেদনের ভিত্তিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মৃতদেহের ময়না তদন্তের আদেশ দেয় আদালত। এনআরএস হাসপাতালের ৩ চিকিত্সককে নিয়ে একটি টিম গঠন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি মৃতের দেহের সবকটি অঙ্গ রয়েছে কিনা বা তা বদলে ফেলা হয়েছে কিনা দেখার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত। এদিকে ওই ময়না তদন্তের সময় মৃতদেহ সনাক্ত করতে অস্বীকার করে কাকলির পরিবার। সে সময় তারা দাবি করেন, ওই দেহ কাকলির নয়। এরপর আজ ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)