নিজস্ব প্রতিবেদন: কোনও জেলায় ২৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক থেকে থাকলে, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান প্রকল্পের আওতায় কাজ পেতে পারেন। নিয়মমতো, পুরুলিয়া সেই যোগ্যতা লাভ করলেও  এই যোজনার এখনও অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো। সোমবার সেই মামলায়, অবিলম্বে পুরুলিয়াকে প্রকল্পের আওতাভুক্ত করার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লকডাউনের জেরে পায়ে হেঁটে, বাসে, ট্রেনে লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছেন। পেট ভরাতে সরকার কয়েক মাস রেশনের ব্যবস্থা করলেও কাজের ভবিষ্যত্ নিশ্চিত করে দিতে পারেনি। তবে, কেন্দ্র ঘোষণা করে, যে সব জেলায় ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক থাকবে, সেই জেলাকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্য়াণ রোজগার অভিযান প্রকল্পে কাজ দেওয়া হবে। বাংলায় প্রায় ১০ লক্ষের বেশি শ্রমিক ভিন রাজ্য থেকে ঘরে ফিরেছেন। কিন্তু কোনও জেলাই এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়নি। এ নিয়ে কেন্দ্রকে রাজ্যের শাসকদল তোপ দাগলেও বেশ কিছু প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে খোদ মমতার প্রশাসনকে। 


দেশে প্রায় ১১২টি জেলার নাম ওই প্রকল্পে উঠে এলেও পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলার নাম নেই। মামলাকারী নেপাল মাহাতো হাইকোর্টে জানান, গত ৩০ জুন জেলাশাসকের দফতরে জানতে চেয়েছিলেন গত মার্চ মাস থেকে কত শ্রমিক পুরুলিয়া এসেছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয় কমপক্ষে ৪০ হাজার শ্রমিক ঘরে ফিরেছেন। পুরুলিয়াকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে মুখমন্ত্রী, জেলা শাসক দফতরে চিঠি লেখেন। কিন্তু কোনও কাজ না হয় হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। পুরুলিয়াকে ওই আওতাভুক্ত করার জন্য এ দিন জেলাশাসককে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।


পশ্চিমবঙ্গকে কেন এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছিলেন, বাংলায় ১১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছেন। তাঁদের নির্লজ্জভাবে উপেক্ষা করে বাদদেওয়া হয়েছে। বাংলার মানুষের প্রতি এত উদাসীনতা কেন? এই একই প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি জানান, যখন নিজেরাই স্বীকার করছেন ১১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছে, তাঁদের ভরনপোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন কিন্তু কেন কেন্দ্রকে চাপ সৃষ্টি করে ওই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গকে যুক্ত করছেন না। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র-রাজ্যের দড়ি টানাটানিতে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। 


আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর, দেশজুড়ে স্যানিটাইজেশন টানেল নিষিদ্ধ করছে কেন্দ্র


তবে, পাল্টা জবাবও দিয়েছে বিজেপি। রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ২৫ হাজার শ্রমিক আছে এমন জেলার নাম কেন্দ্রের কাছে না পাঠায়, তাহলে দোষ কার। রাজ্য সেই তালিকাই পাঠায়নি বলে দাবি দিলীপের। এ জন্য রাজ্যসরকারের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।