আসনসোলে পদপিষ্টের ঘটনায় জিতেন্দ্র ও চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে দায়ের মামলা
কমপক্ষে ৮ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। ওদিকে এ প্রসঙ্গে পুলিস কমিশনার সুধীর কুমার জানিয়েছেন, কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি পুলিসের। মহিলাদের এত ভিড় হবে, তাঁরা জানতে পারেননি।
বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায় ও বিধান সরকার: আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙায় ১৪ ডিসেম্বর, বুধবার, কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির নামে দায়ের হল মামলা। মামলা দায়ের করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিস। পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি সহ আয়োজকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন পদপিষ্ট হয়ে মৃত আসানসোল্ল কাল্লার বাসিন্দা ঝালি বাউড়ির ছেলে সুখেন বাউড়ি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিস। অনিচ্ছাকৃত খুন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা। মামলায় আরও কয়েকজন বিজেপি নেতারও নাম রয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে নাম নেই শুভেন্দু অধিকারীর।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে যে ধরনের পুলিসি ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন ছিল, তা রাখা হয়নি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিসের অভিযোগ, কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের জন্য নাকি পুলিসের কোনও অনুমতি-ই নেওয়া হয়নি। কত ভিড় হবে, সে সম্বন্ধেও কোনও আভাস ছিল না।
আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙার মাঠেই শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজক ছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালী তিওয়ারি। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে ৩-৪টি কম্বল বিলি করে মঞ্চ থেকে নেমে যান শুভেন্দু। জানা যাচ্ছে, শুধু কম্বল বিতরণের জন্যই নয়, শিবচর্চা শোনা ও দেখার জন্যও মহিলারা উপস্থিত হয়েছিলেন মাঠে। কমপক্ষে ৮ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। ওদিকে এ প্রসঙ্গে পুলিস কমিশনার সুধীর কুমার জানিয়েছেন, কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি পুলিসের। মহিলাদের এত ভিড় হবে, তাঁরা জানতে পারেননি।
যদিও জিতেন্দ্র তিওয়ারি দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি স্থানীয় থানায় একটি লিখিত চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিস সূত্রে খবর, সেই চিঠিতে কত ভিড় হবে তা লেখা ছিল না। শুধু লেখা ছিল মেগা কম্বল বিতরণ ও শিবচর্চার অনুষ্ঠানের কথা। সেখানে শুভেন্দুর আসার কথারও কোনও উল্লেখ ছিল না। ওদিকে এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ রাজ্যের।
আরও পড়ুন, 28th KIFF: মঞ্চে বীরবাহাকে সামনে রেখেই রাষ্ট্রপতি-বিতর্কে জল ঢাললেন মমতা