চিটফান্ড মামলায় সিবিআই জালে রাজু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী
পেশায় সঞ্জয় সিং একজন ব্য়বসায়ী। চিটফান্ডের টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় `রোল` করত। পেশায় ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিংয়ের মাধ্যমেই সেই টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় খাটত।
বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার আরও এক। গ্রেফতার করল সিবিআই। সন্মার্গ চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ধৃতের নাম সঞ্জয় সিং। দুর্গাপুরের বাসিন্দা তিনি। বর্ধমান সন্মার্গ চিটফান্ড মামলায় এবার সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ধৃত সঞ্জয় সিং সন্মার্গ কোম্পানির একটি নিউজ চ্যানেলের দেখাশোনা করতেন। বর্তমানে 'একদিন' বলে একটি বাংলা দৈনিক পাত্রিকার আংশিক শেয়ার হোল্ডার বলেও জানা গিয়েছে। আজই ধৃত সঞ্জয় সিংকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়। চিটফান্ড মামলায় ধৃত সঞ্জয় সিংকে তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আসানসোল সিজেএম আদালতের বিচারক এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানি। ধৃত সঞ্জয় সিং তাঁরই ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, পেশায় সঞ্জয় সিং একজন ব্য়বসায়ী। চিটফান্ডের টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় 'রোল' করত। পেশায় ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিংয়ের মাধ্যমেই সেই টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় খাটত। উল্লেখ্য, এই চিটফান্ড মামলায় প্রথম প্রণব চট্টোপাধ্য়ায় নামে একজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও উদ্ধার হওয়া তথ্যপ্রমাণ থেকেই রাজু সাহানির নাম উঠে আসে। এরপর রাজু সাহানিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার হয়। পাশাপাশি, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতেও মেলে তথ্য়প্রমাণ। তাতেই উঠে আসে এই সঞ্জয় সিংয়ের নামে। শেষমেশ সিবিআইয়ের জালে সঞ্জয় সিং। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় ভোটের বিনিময়ে টাকা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল।
প্রসঙ্গত, বর্ধমান সন্মার্গ চিটফান্ড কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সৌম্যরূপ ভৌমিককে 'ফেরার' ঘোষণা করা হয়েছে। ওদিকে, হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানির থাইল্যান্ড, হংকং ও ব্যাংককে এনজিও রয়েছে। আবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খুলেছেন। হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানিকে তাকে তার নিউ টাউনের ফ্ল্য়াট থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর বাড়ি থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। নিউটাউনের ফ্ল্যাট ছাড়াও হালিশহরে তাঁর নিজের বাড়ি ও অন্য়ান্য জায়গা থেকেও বিপুল টাকার সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। নিউটাউনের পাশাপাশি এই রাজ্য় ও বেঙ্গালুরু মিলিয়ে মোট ৩টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। সিটি সেন্টার-২ এর সামনে একটি দোকানও রয়েছে। নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া-২ এও ফ্ল্যাট রয়েছে রাজুর। সেখানে একটি আবাসনের বারোতলায় থাকেন রাজুর স্ত্রী ও সন্তান। ওই আবাসনের এক একটি ফ্ল্যাটের দাম কোটি টাকার উপরে। এরকম একটি আবাসনের ৯ তলাতেও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।