বিধান সরকার: আরজি কর মামলায় জামিন পেয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিত্ মণ্ডল। কারণ টানা ৯০ দিনেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। এনিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাংলাদেশ থেকে পুণ্যার্থী বোঝাই ট্রেন মেদিনীপুরে আসতে দেব না, শাহকে চিঠি বিজেপি নেতার


শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন,সিবিআই যখন সন্দীপ ঘোষ আর টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করল তখন তাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও তারা সে কথা বলেছিল। সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যে কোন প্রমাণ দেখাতে পারল না। ৯০ দিনের মধ্যে যদি চার্জশিট জমা না দিতে পারে স্বাভাবিকভাবেই জামিন পাবে। এটা হল আইনের কথা।


কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি আগেই বলেছি,ক্রিমিনাল কেসে, কে অভিযুক্ত হবে, কার বিরুদ্ধে চার্জশিট হবে, কার বিরুদ্ধে কনভিকশন হবে সেটা আমার অনুমানের উপর নির্ভর করে না। এর জন্য সাক্ষ্য প্রমাণ চাই। কিন্তু আজকে যে জিনিসটা দেখা যাচ্ছে সিবিআই যে গ্রেফতার করেছিল তা সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই করেছিল। যারা আন্দোলন করেছিল সেই ডাক্তাররা, সিপিএম-বিজেপি ছিল। তাদের চাপেই সিবিআই এটা করেছে। এখন যদি দেখা যায় যে সিবিআই সত্যি সত্যি ওদের বিরুদ্ধে চার্জশিট না দিতে পারে তাহলে ৯০ দিনের আটকে রাখাটা তো বেআইনি হয়ে গেল। এটা কাদের জন্য হল? এরা চাপ দিয়ে করাচ্ছে। থ্রেট কালচার কারা করছে সেটাই এখন দেখার। আন্দোলনের নামে থ্রেট চলছে। আন্দোলন করে কিছু হয় না। যারা নেমেছেন তাদের বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। আপনারা তথ্য প্রমাণ  সিবিআইয়ের হাতে দিয়ে দিন।


গতকাল সংসদে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবারকে তীব্র ভাষায় আক্রমাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এনিয়ে কল্যাণ বলেন,ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে কংগ্রেসের মত কোন দলের অবদান নেই। দেশের অখন্ডতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে গিয়ে গান্ধী পরিবারের দুজন, ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধী তাদের প্রাণ দিয়েছেন। তাদের রক্তা লেগে রয়েছে মাটিতে। তাই আজকে ক্ষমতায় আছেন কালকে থাকবেন না তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ কেউ যদি করে সেটা কি ভালো লাগবে? কখনো কারো কাজ ভালো লাগতে পারে, খারাপ লাগতে পারে মানুষ তার বিচার করে দেয়। এটা আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রের সংস্কৃতিই নয় এভাবে সমালোচনা করা। ইন্দিরা গান্ধী যখন পারছিলেন না তখন তো মানুষ রায় দিল। তারপর মুরাজি দেশাই প্রধানমন্ত্রী হলেন।  কিন্তু তিনিও পারলেন না। তখন মানুষ আবার কংগ্রেসকে নিয়ে এল। এটাকে না মেনে তো উপায় নেই। যেমন জ্যোতি বসুর একটা অবদান পশ্চিমবঙ্গের জন্য আছে এটা তো মানতে হবে। আমি রাজনৈতিকভাবে মোদির বিরুদ্ধে কিন্তু মোদির ৩ তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শ্রদ্ধা করব। মানুষ তো এমনিই পন্ডিত জহরলাল নেহেরুকে জেতায়নি। যেমনি মোদিকে জিতিয়েছে তেমনি নেহেরুকেও জিতিয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধীকে জিতিয়েছে, মনমোহন সিং কেও জিতিয়েছে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)