Tapan Dutta Murder Case: বালিতে তপন দত্তের বাড়িতে সিবিআই; `ভরসা পেলাম`, বললেন স্ত্রী
২০১১ সালে বালিতে খুন হন পরিবেশবিদ তপন দত্ত। এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
দেবব্রত ঘোষ: ব্যবধান মাস দুয়েকের। মামলার তদন্তভার নেওয়ার পর এবার বালিতে তপন দত্তের বাড়িতে সিবিআই। নিহত পরিবেশবিদের স্ত্রী ও দুই মেয়ের সঙ্গে কথা বললেন তদন্তকারী অফিসার ওপি চন্দ। সঙ্গে ছিলেন আরও এক আধিকারিক। 'সিবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলে ভরসা পেলাম', বললেন স্ত্রী প্রতিমা দত্ত।
সেই বছরই রাজ্য়ে পালাবদল ঘটেছিল। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে বালিতে খুন হন পরিবেশবিদ তপন দত্ত। এলাকায় তৃণমূল নেতাকে হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। কীভাবে? ৬ মে রাতে বাইক চালিয়ে বাড়়ি ফিরছিলেন তপন। পিছনের সিটে ছিলেন বাবলু প্রসাদ নামে আরও একজন। বালি লেভেল ক্রশিংয়ে কাছে তাঁদের ঘিরে ধরে কয়েকজন দুষ্কৃতী। গুলি চালায় তারা। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তপন দত্তের। তাঁর সঙ্গী বাবলু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: Same Sex Marriage: বিয়ে করেছেন কেন? মঙ্গলকোটে আক্রান্ত সমপ্রেমী দম্পতি!
কেন এই খুন? নেপথ্য়ে কারা? ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি। ২০১১ সালেরই অগাস্ট প্রথম চার্জশিট পেশ করা হয়। সেই চার্জশিটে মন্ত্রী অরূপ রায় ও হাওড়ার কয়েকজন তৃণমূল নেতা-সহ নাম ছিল ১৬ জনের। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর সে বছরের সেপ্টেম্বর ফের একটি আরও সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হয়। দ্বিতীয় চার্জশিটে ৯ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়। কেন? কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে তপন হত্যা মামলায় যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, স্রেফ তথ্যপ্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে যান তাঁরা। সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। চলতি বছরের জুন মাসে মামলাটি শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্তার এজলাসে। বিচারপতি জানতে চান, 'মাত্র ২৬ দিনের মাথায় কেন দ্বিতীয় চার্জশিট? প্রথম চার্জশিটে নাম থাকলেও দ্বিতীয় চার্জশিটে কেন বাদ মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম'? সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: World's largest temple: বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির বাংলায়, ১০ অজানা কথার সন্ধান
এদিন প্রায় ঘণ্টা দেড়েক তপন দত্তের বাড়িতে ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। স্ত্রী প্রতিমা দত্ত বলেন, 'হাইকোর্টে সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে। কিন্তু তদন্তের সেভাবে কোনও অগ্রগতি হচ্ছিল না। হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে, আজ কিছুটা হলেও ভরসা পেলাম'। তাঁর দাবি, 'সঠিকভাবে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা'।