বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: সিবিআই আধিকারিকরা চেলিডাঙার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই তোপ দাগলেন মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। গুরুতর অভিযোগ করলেন তিনি। অভিজিৎ ঘটক বললেন, 'সিবিআই কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে পারেনি। আমি আইনজীবী। আমার বাবা, দাদু, দাদা সকলেই আইনজীবী। আইনের বিষয়টা আমরা ভালো বুঝি। মধ্যবিত্ত ও সচ্ছল পরিবারে যা যা সম্পত্তি থাকার কথা, তাই রয়েছে। সেইসব কিছু খতিয়ে দেখে সিবিআই। দেখে তারপর বেরিয়ে যায়।' বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ কয়লাপাচার কাণ্ডে মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টে ২০ পর্যন্ত চলে মন্ত্রী মলয় ঘটকের তিনটি বাড়িতে এই তল্লাশি অভিযান। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আপকার গার্ডেনের ২টি বাড়ি সহ চেলিডাঙার পৈত্রিক বাড়ি সহ মন্ত্রী মলয় ঘটকের মোট তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তবে কোনও বাড়িতেই তল্লাশির সময় মন্ত্রী মলয় ঘটক উপস্থিত ছিলেন না বলে সূত্রের খবর। বড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারকাণ্ডে শুধু সিবিআই নয়, ইডিও তদন্ত করছে। মন্ত্রী মলয় ঘটককে ইতিমধ্যেই তলব করেছে ইডি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রী মলয় ঘটককে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। জুলাই মাসেও একবার মলয় ঘটককে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু সে সময় ইডি দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। এবার ১৪ সেপ্টেম্বর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার মধ্যেই বাড়িতে সিবিআই হানা। প্রসঙ্গত সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে, অনুপ মাঝির ডায়েরিতে মলয় ঘটকের নাম রয়েছে। 


এখন সিবিআই যখন মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, তখন প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীদের। মন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন মহিলা কাউন্সিলররা। জিটি রোডের উপরে দফায় দফায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, এজেন্সিগুলোকে কাজে লাগানো হচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। বিজেপি গত লোকসভা, বিধানসভা, পুরনিগমের ভোটে হেরেছে। এবার পঞ্চায়েত ভোটেও হারবে। সেটা বুঝতে পেরেই এভাবে এজেন্সিগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে। 


আরও পড়ুন, Anubrata Mandal: নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তির হদিস, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল


যার পরিপ্রেক্ষিতে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তোপ দাগেন, 'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলীয় কর্মীদের দিয়ে তদন্তে বাধার সৃষ্টি করছে। এটা সাংঘাতিক অপরাধ। মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাজ্য পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আঁতাত করেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিস্থিতি তৈরি করছেন। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা এটাই প্রমাণ করছে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-ই বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চাইছেন। নইলে এভাবে ইডি, সিবিআই-এর কাজে বাধা দিতেন না।'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)