নিজস্ব প্রতিবেদন: যতবার সঙ্কটে পড়েছেন এই মেট্রো চ্যানেলেই ধরনায় বসেছেন তিনি। আর প্রতিবারই রাজনীতিতে উত্থান হয়েছে তাঁর। কলকাতার পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে ফের একবার সেই মেট্রো চ্যানেলকেই ঘাঁটি করলেন মমতা। তবে এবার শুধু কলকাতা বা রাজ্য নয়, মমতার ধরনায় নজর গোটা দেশের। কারণ এবার দেশের গণতন্ত্র বাঁচানোর ডাক দিয়েছেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিহাস বলছে, ১৯৯৩ সালে প্রথমবার মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিসি হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিবাদে সেই ধরনা চলেছিল ২৩ দিন। তখন যুব কংগ্রেস নেত্রী ছিলেন তিনি। ওই কর্মসূচির পরই দলে লাফিয়ে বাড়তে থাকে মমতার জনপ্রিয়তা। দাবি ওঠে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করতে হবে মমতাকে। যার জেরে শেষ পর্যন্ত ভাঙে কংগ্রেস। 


২০০৬ সালে ফের মেট্রো চ্যানেল থেকেই রাজনীতিতে আরেক দফা উত্থান হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সিঙুর আন্দোলন চলাকালে তাপসি মালিকের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবিতে ধরনায় বসেন তিনি। রেকর্ড ২৭ দিন চলেছিল সেই ধরনা। এর পরই গোটা রাজ্যে জনপ্রিয়তা তুমুলে পৌঁছয় তৃণমূলনেত্রীর। যার ফলে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। 


মোদীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে, প্রাণ থাকতে মাথা নোয়াবো না, ধরনামঞ্চে বসে বললেন মমতা


প্রায় ৮ বছর মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলানোর পর ফের একবার সেই মেট্রো চ্যানেলে মমতা। এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সোচ্চার তিনি। গোটা দেশে বিরোধীদের ওপর মোদী সরকার বুলডোজার চালাচ্ছে বলে ইতিমধ্যে হুঙ্কার ছেড়েছেন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতার এই ধরনা কি তাঁকে পৌঁছে দেবে দিল্লির মসনদে? জবাব দেবে সময়ই। 


তবে পরিহাস, আগেরবার যে সিবিআই তদন্তের দাবিতে ঠিক যেখানে ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূলনেত্রী ক্ষমতায় এসে এবার সেখানেই ধরনায় বসেছেন সিবিআই তদন্তের বিরোধিতায়।