`পুরোটাই পূর্বপরিকল্পিত, রাজ্যের অবস্থা গণতন্ত্রের উপযুক্ত নয়`

জি ২৪ ঘণ্টা  ডিজিটাল ব্যুরো: 'রাজ্যের অবস্থা গণন্ত্রের পক্ষে উপযুক্ত নয়। সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। পুলিস-প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল। রাজ্যের রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে দেওয়া হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকেও রিপোর্ট দেওয়া হবে। অশান্তির জন্য মানবাধিকার কমিশনকে রিপোর্ট। আমরা রাজ্যপালের কাছেও যাব। বাধা দেওয়ার কথা জানাব। উনি সময় দিয়েছেন।' সাংবাদিক বৈঠকে জানাল কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।

কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির তরফে আরও বলা হয়, 'মামলাকারীর দাবি পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়েছে। কিন্তু রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই। এটা সম্ভব নয়, ১০ মিনিটে কেউ  পাথর নিয়ে ছাদে চলে গেল। পুরোটাই পূর্ব পরিকল্পিত। কারও উসকানি আছে কিনা, রাজ্যের পক্ষে সেটা তদন্ত করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা না এলে সেটা বের করা সম্ভব নয়।' এদিন কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য ওম প্রকাশ ভ্যাস বলেন, 'আমরা ভিক্টিমদের সাথে কথা বলতে পেরেছি। এখানে ভায়োলেন্সের যা ছবি দেখলাম, রাজ্য সব মানবাধিকার সব লঙ্ঘন করেছে। আতঙ্কের ছায়ায় মানুষ বাঁচছে।'

ওদিকে নরসিমা রেড্ডি বলেন, 'আমি দেখলাম সিপিএম শান্তি মিছিল করেছে। অথচ আমাদের অনুমতি দেওয়া হল না। আমাদের যেতে দেওয়া হলনা। আটকে দেওয়া হল। আমরা মানুষের সাথে কথা বলতে এসেছিলাম। আমরা কি এতটাই ভয়ংকর? রামনবমী উপলক্ষে এই রাজ্যের ঘটনাতে এসেছিলাম। সরকারকে অনেক সতর্ক থাকতে হত। পুলিস নীরব দর্শক ছিল। যারা হিংসা করছিলেন, তাঁরা পুলিসকে দেখে বরং সাহস পেয়েছে। পুলিস ভিক্টিমদের গ্রেফতার করেছে। রাজ্যের প্রধান আমরা-ওরা ভাবে কথা বলেছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এই মন্তব্যগুলি উৎসাহিত করেছে। গণতন্ত্রের জন্য এটা ঠিক নয়। 

প্রসঙ্গত, হাওড়া শিবপুর ও রিষড়ার ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু হাওড়া পুলিস কমিশনাকরেটের সেই রিপোর্ট পরিপূর্ণ নয় বলেই মত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির। উল্লেখ্য, হাওড়া-রিষড়ায় অশান্তির পর পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আসে কেন্দ্রীয় দল। কিন্তু কেন্দ্রীয় দলকে রিষড়ায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। প্রায় এক ঘণ্টা তর্কাতর্কির পর কলকাতায় ফিরে আসেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা।