``রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর এখন তৃণমূলের কার্যালয়``, কমিশনে অভিযোগ জয়প্রকাশের
``আক্রমণের বিবরণ জানিয়েছি। নারকীয় আঘাত হয়েছে গণতন্ত্রের ওপর। মানুষের চড় আসতে চলেছে। তাই ওরা লাঠি বন্দুক নিয়ে আঘাত আনছে।``
নিজস্ব প্রতিবেদন: ''সিইও-তে পুলিস রিপোর্ট এসেছে, তা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বসে তৈরি হয়েছে।'' দিলীপ ঘোষের কনভয়ের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ কমিশনে জানানোর পর বেরিয়ে বললেন বিজেপিনেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
তিনি বলেন, ''আক্রমণের বিবরণ জানিয়েছি। নারকীয় আঘাত হয়েছে গণতন্ত্রের ওপর। মানুষের চড় আসতে চলেছে। তাই ওরা লাঠি বন্দুক নিয়ে আঘাত আনছে।'' তাঁর আরও অভিযোগ,
''কাল ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। ওসি, এমএলএ একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন। এমএলএ রঞ্জিত মন্ডলের নেতৃত্বে হামলা হয়।'' পুলিশ কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল বলে তাঁর অভিযোগ।
তাঁর প্রশ্ন, ''৩ ঘন্টা ধরে হামলা চলছিল। এসপি, ওসি কী করছিলেন? দিলীপ ঘোষ, হেমন্ত বিশ্বশর্মার জেড প্লাস নিরাপত্তা না থাকলে কাল খুন হয়ে যেতেন।'' তিনি বলেন, ''মাথার ওপর যিনি আছেন, তিনি হেরে যাবেন বুঝতে পেরে খুন করতে চাইছেন।'' পুলিস সুপার, জেলাশাসক ও ওই থানার আইসি-কে সরিয়ে দিতে হবে বলে দাবি তোলেন তিনি। ১২ তারিখ নির্বাচনের আগেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
অধঃস্তন মহিলা কর্মীকে দিয়ে পা টেপানো, ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড রেলের সাব-ইন্সপেক্টর
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠল।
তার পরই ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কাছে এই ঘটনার রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের তরফে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রচার চলাকালীন বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি। তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে কুঞ্জপুরে পথ অবরোধে বসেন বিজেপি কর্মীরা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা হয় বলে অভিযোগ। কনভয়ের ২টি গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর হয়েছে।