নিজস্ব প্রতিবেদন: যিনি অটো চালাতেন তিনি হয়ত পাড়ার মোড়ে সবজি নিয়ে বসছেন, কেউ কারখানার বন্ধ হওয়ায় এখন মাছ বিক্রেতা। এভাবেই লকডাউনে বদলে গিয়েছে পেশা। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সুদর্শন বিশ্বাস তারই অন্যতম উদাহরণ। আগে ট্রেনের কামরায় গান গেয়ে রোজগার করতেন। এখন তা বন্ধ। তাই চপ-সিঙারার দোকান দিয়েছেন। তবে গান হারায়নি তাঁর গলা থেকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সোমবার থেকে হাওড়া-শিয়ালদহে চালু ২০০টি যাত্রীবাহী ট্রেন, থাকছে ৮ জোড়া স্পেশালও


শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় পরিচিত মুখ সুদর্শন। মাঝে মধ্যেই বক্স নিয়ে উঠে যেতেন লোকাল ট্রেনের কামরায়। কিশোর কুমারকে অনুসরণ করে গেয়ে যেতেন একের পর এক গান। কিছুটা রোজগার হতো এভাবেই। আর স্টেশনে ছিল একটি ছোট লস্যির দোকান। এই দুইয়ে মিলে সংসারটা বেশ চলে যাচ্ছিল রাজার শহরের বাসিন্দা সুদর্শনের। সঞ্চয়ও কিছুটা করতে পেরেছিলেন। 


আরও পড়ুন: আমফানে দুর্গতদের ত্রিপল বিলি নিয়ে বচসা, তৃণমূল কর্মীদের ওপর 'হামলা' বিজেপির


কিন্তু লকডাউনের জেরে সুদর্শনের পেশায় ছেদ পড়ে। আড়াই মাস টানা ঘরবন্দি থাকতে থাকতে সঞ্চয়ও প্রায় শেষ। মা-স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে সংসার চালানোটাই কঠিন হয়ে উঠছিল তাঁর কাছে। তাই পেশা বদল করেছেন সুদর্শন। এখন ঘুরে ঘুরে চপ বিক্রি করেন তিনি। ক্রেতা টানতে গেয়ে ওঠেন গান। 


সুদর্শনের সুকণ্ঠে মুগ্ধ হয়ে যান শহরের বাসিন্দারাও। পথচলতি অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়েন। অনুরোধও করেন গান গাওয়ার জন্য। এখন এভাবেই চলছে সুদর্শনের। তবে দ্রুত তিনি ফিরতে চান। ফিরতে চান ট্রেনের কামরায়।